Balurghat: দোলের দিন মদ খেয়ে রাস্তায়? কত জনের ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ হয়েছে জানেন?
Balurghat: হাসপাতাল সূত্রে খবর, দোলের প্রথম দিন ২৫ জন পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। যার মধ্যে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও পরের দিন ৪৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন।

বালুরঘাট: দোলের আগে দেদার মদ বিক্রি। পার্টি-মজা, হই-হট্টোগোল সব হয়েছে। আর এই মদ্যপান করে জেলায় পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। শুধুমাত্র বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে দুদিনে প্রায় ৮০ জন চিকিৎসার জন্য এসেছে। এমনকি বালুরঘাটে পথ দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দোলের দুদিন পথ দুর্ঘটনা বাড়তে পারে তাই আগাম সর্তকতা নিয়েছিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুত রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সজাগ ছিলেন।
প্রায় প্রতিবাদ দোলের দুদিনের মধ্যে প্রথম দিন শুধু মদের দোকান খোলা থাকত। এবারে দু’দিনই মদের দোকান খোলা ছিল। আর দু’দিনে রেকর্ড পরিমাণ মদ বিক্রি হয়েছে জেলায়। সকাল থেকেই রাত পর্যন্ত মদের দোকানের সামনে একই রকম ভিড় ছিল। একদিন যেমন মদের দোকানে ভিড় ছিল। ঠিক তেমনি ভাবে রাস্তায় ছিল মোটর সাইকেলের দাপাদাপি। শহরের মধ্যে বাইক চালানো নিয়ে প্রতিযোগিতার আকার নিয়েছিল। পুলিশের দাবি, মদ্যপ অবস্থায় বাইক থেকে গাড়ি চালানো হয়েছে। যার কারণে পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিন কম পথ দুর্ঘটনা ঘটলেও, দ্বিতীয় দিনে সব থেকে বেশি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দুদিন জেলাতে ১০০-রও বেশি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে পথ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ মদ্যপান।
এ দিকে, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তৈরি ছিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নেওয়া হয়েছিল বাড়তি ব্যবস্থা। পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। দোলের মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় পতিরাম থানার ফরিদপুর এলাকার সুব্রত পাহানের (১৯)। গত শনিবার রাতে পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে বালুঘাট থানার আটইর এলাকায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ব্যারিকেড বা কোন গাড়িতে মোটরসাইকেল নিয়ে ধাক্কা মারে সুব্রত পাহান। ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। পাশাপাশি গতকাল কুয়ারণের বিশ্বনাথ ওরাও (৩২) নামে একজন পথ দুর্ঘটনায় মারা যায়। মৃতের বাড়ি বালুরঘাট থানার ময়ামারি এলাকায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, দোলের প্রথম দিন ২৫ জন পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। যার মধ্যে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও পরের দিন ৪৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। যার মধ্যে ৩৭ জনকে ভর্তি করানো হয়েছিল। দুদিন ৭ জনকে স্থানান্তিরিত করা হয়েছে। হাসপাতালে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।





