২১৩ আসন মানেই চোর সাধু হয়ে যায়নি, শূন্য মানেই ফুরোইনি: মীনাক্ষী

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Jul 16, 2021 | 9:08 PM

Minakshi Mukherjee: "চোরেরা এখনও চোরই আছে। এখনও নেতা-মন্ত্রীদের নিজাম প্যালেসে ডাক পড়ে। তবে নেতা এই রকমই হতে হয়। গ্রাম বাংলায় একটা কথা রয়েছে, যার জন্য চুরি করি সেই বলে চোর।''

২১৩ আসন মানেই চোর সাধু হয়ে যায়নি, শূন্য মানেই ফুরোইনি: মীনাক্ষী
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

বালুরঘাট: “হেরে গেছি মানেই আমাদের দাবি ফুরিয়ে যায়নি। আর ২১৩ আসন পেয়ে সকলেই সাধু হয়ে যায়নি।” শুক্রবার পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ সভা থেকে এমনই মন্তব্য করলেন ডিওয়াইএফআই (DYFI)-র রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি ( Minakshi Mukherjee)।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতার পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে এক পংক্তিতে ফেলে মীনাক্ষীর কটাক্ষ, “চোরেরা এখনও চোরই আছে। এখনও নেতা-মন্ত্রীদের নিজাম প্যালেসে ডাক পড়ে। তবে নেতা এই রকমই হতে হয়। গ্রাম বাংলায় একটা কথা রয়েছে, যার জন্য চুরি করি সেই বলে চোর। দিদিমণি বলেন, তুমি আমার জন্য চুরি করেছ। চোরেদের বাঁচাতে আমি কিন্তু চোরেদের পাশেই থাকব।”

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে তৃণমূল সরকারের বিধায়করাও প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছেন। তবে তরুণ বাম নেত্রী মীনাক্ষীর ইঙ্গিত, রাজ্যের তৃণমূল ও কেন্দ্রের বিজেপির মধ্যে গোপন বোঝাপড়া রয়েছে।

তাঁর কথায়, “ডিজেল বা গ্যাসের দাম বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষের কী? সকলকে তো জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কল্পতরু প্রকল্প উপহার দিয়েছেন দিদিমণি। জন্মালে ১২০০ টাকা, মহিলাদের ৫০০ টাকা ও মরে গেলে ডোমেদের খরচ। সবই কিছুই দিদিমণি দিচ্ছেন। এরপরও মানুষ কেন প্রতিবাদ করবে?”

কিন্তু এর পরেও প্রতিবাদ হচ্ছে। এবং সেই প্রতিবাদে বামপন্থীদের সর্বদাই পাশে পাবেন সাধারণ মানুষ বলে মন্তব্য নন্দীগ্রামের সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থীর। বলেন, হেরে গেছি মানেই আমাদের দাব ফুরিয়ে যায়নি। বিধানসভায় শূন্য হলেও বামেরা ফুরোয়নি।

এদিন বালুরঘাট বাস স্টান্ডে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ সভা থেকে রাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকেও একহাত নেন মীনাক্ষী। বলেন, “কেরোসিন থেকে রেশনে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন করা হল। আর পেট্রোল ডিজেলকে খোলা বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, এই খোলাবাজার চালায় মোদীর দুই দামাত আদানি ও আম্বানী। ভারতবর্ষেও পেট্রোপণ্যের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেই পেট্রোপণ্যের সন্ধান থেকে শুরু করে তার পরিশোধন সবটাই কেন্দ্রীয় সরকার করবে। কিন্তু তা বিক্রি করবেন মোদির দুই দামাত আদানি ও আম্বানী।”

এদিনের এই সভায় হাজির ছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সভাপতি দারুল ইসলাম, ডিওয়াইএফআইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিমাগ্নরাজ ভট্টাচার্যরা। এই প্রতিবাদ সভা থেকে একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও দুটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের উদ্বোধন করা হয়। আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন-বিক্ষোভ: স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘরে আটকে শেকল তুলল জনতা, তীব্র উত্তেজনা পাঁশকুড়ায় 

Next Article