Madhyamik Exam: কয়েক ঘণ্টা পরেই মাধ্যমিক পরীক্ষা, এখনও চলছে ‘মোচ্ছব’, তারস্বরে বাজছে অবাধ্য মাইক
Madhyamik Exam: এনিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ যায়। খবর পেয়ে বালুরঘাট এসডিও দেবাশিস চৌধুরী, বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সম্বল ঝাঁ পতিরাম কলেজে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। যা মেনেও নিয়েছিল পতিরাম কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি মৃণাল সরকার সহ ছাত্রছাত্রীরা।
বালুরঘাট: রাত পোহালে মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রশাসনিক মহলে তুঙ্গে তৎপরতা। কিন্তু, তারমধ্যেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে উঠে এল অপ্রীতিকর ছবি। প্রশাসনের নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই দিকে দিকে তারস্বরে বাজল মাইক। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে জলপাইগুড়ি সর্বত্রই একই ছবি। পরীক্ষার আগের দিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দুই কলেজে মাইক বাজিয়ে নবীন বরণ-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। একই ছবি জলপাইগুড়িতে। মাইক বাজিয়ে জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাব ময়দানে স্কুল স্পোর্টস করার অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ি সুনীতিবালা সদর গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
খবর পেতেই নড়েচড়ে বসেন পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহাল। তাঁর নির্দেশেই টাউন ক্লাব ময়দানে ছুটে যান পুলিশ কর্তারা। বন্ধ করা হয় মাইক। পুলিশ সুপার স্পষ্ট জানিয়ে দেন মাধ্যমিকের আগে ও মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কোথাও মাইক বাজানো যাবে না। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ যেতেই পতিরাম কলেজের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও গঙ্গারামপুর কলেজে চলতে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তাও আবার মাইক বাজিয়ে৷
ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। এনিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ যায়। খবর পেয়ে বালুরঘাট এসডিও দেবাশিস চৌধুরী, বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সম্বল ঝাঁ পতিরাম কলেজে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। যা মেনেও নিয়েছিল পতিরাম কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি মৃণাল সরকার সহ ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু পরে শোনা যায়, একই জেলার গঙ্গারামপুর কলেজে অনুষ্ঠান চলছে। তাতেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। এক কলেজে বন্ধ হলে, আর এক কলেজে হল না কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে নাগরিক মহলে। যদিও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, পতিরামে কলেজে অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। পরে গঙ্গারামপুর কলেজের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে।