Balurghat: হয়েছিল ১০ বছরের কারাদণ্ড, ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু বালুরঘাটে

Balurghat: জানা গিয়েছে, কিছু বছর আগে অনিল সাহা ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। ১০ বছরের সাজা ঘোষণা হয়। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ থেকে রায়গঞ্জের জেলে ছিলেন।

Balurghat: হয়েছিল ১০ বছরের কারাদণ্ড, ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু বালুরঘাটে
ব্যাপক শোরগোল জেল চত্বরে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2023 | 10:35 PM

বালুরঘাট: ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য বালুরঘাটে (Balurghat)। শুক্রবার সকালে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ওই বন্দির নাম অনিল সাহা (৫২)। বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শক্তিনগরে। এদিকে পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়৷ যদিও বালুরঘাট হাসপাতালে কোন ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক না থাকার কারণে দেহটি পরে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়৷ হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে ওই বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান চিকিৎসক ও জেল কর্তৃপক্ষের৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, কিছু বছর আগে অনিল সাহা ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন৷ ১০ বছরের সাজা ঘোষণা হয়। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ থেকে রায়গঞ্জের জেলে ছিলেন। সাজা ঘোষণা হওয়ার দুদিন পর অর্থাৎ ১৭ তারিখেই অনিল সাহাকে রায়গঞ্জ জেল থেকে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয়। তারপর থেকে বালুরঘাটে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ছিলেন অনিল। এদিন ভোরে হঠাৎই বুকে মারাত্মক ব্যথা হতে শুরু করে অনিসেন। বিষয়টি নজরে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে রাস্তাতেই মৃত্যু হয় ওই বন্দির। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের চিফ কন্ট্রোলার শিবাজী রায় বলেন, “২০১৯ সাল থেকে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। আজ ভোরে হঠাৎই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তিনি ধর্ষণের মামলায় সাজা কাটছিলেন৷ এই ঘটনার পর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মালদায় পাঠানো হয়েছে।” মৃতের ভাই সন্তু সাহা বলেন, “আজ সকালে জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা এখানে আসি। কীভাবে মারা গেল তা এখনও বুঝতে পারছি না।”