Balurghat: বিএসএফ শুরু করল কাঁটাতার দেওয়ার কাজ, গ্রামবাসীরা বললেন…
Balurghat: সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১৫০ মিটার ভেতর দিয়ে কাঁটাতার দিলে পরে গ্রামবাসীদের চাষের জমি নষ্ট হবে না। তাই ঘেরা দেওয়ার কাজে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। বিষয়টি জানতে পেরেই রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস সহ পুলিশ বাহিনী।

বালুরঘাট: জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ভিতর দিয়ে নতুন করে কাঁটাতার দেওয়া হবে। চলছিল মাপজোক। মাপজোক হলেই পোঁতা হত পিলার। সে ক্ষেত্রে বহু ভারতীয়র চাষের জমি নষ্ট হবে বলেই দাবি করছিলেন সেখানকার লোকজন। অথচ জিরো পয়েন্ট থেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১৫০ মিটার ভিতর দিয়ে কাঁটাতার দিলে গ্রামবাসীদের চাষের জমি নষ্ট হবে না। তাই বিএসএফ-এর সঙ্গে কথা বলেন গ্রামবাসী। বিষয়টি জানতে পেরেই রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস সহ পুলিশ বাহিনী। গ্রামবাসী ও বিএসএফে-র সঙ্গে কথা বলেন আইসি।
এলাকাবাসীর দাবি, বিএসএফ যেভাবে ঘিরতে চাইছে, সেভাবে দিলে অনেক কৃষকের সব চাষের জমি নষ্ট হয়ে যাবে। তবে নিরাপত্তার কারণে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়াটাও প্রয়োজন। নয়ত অবাধে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এখানে ঢুকে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করে পারে। এ প্রসঙ্গে, ভুলকিপুরবাসী হেমন্ত মুর্মু বলেন, “আমাদের জমি নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু নিরাপত্তা সবার আগে। বিএসএফ-এর সঙ্গে এই নিয়ে কথা হয়েছে। ওঁরা বলছেন আমরা প্রহরী। সবটাই খতিয়ে দেখা হবে।”
বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুলকিপুর গ্রাম। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে রয়েছে পুরো গ্রাম। যেখানে প্রায় ৫৭ টি আদিবাসি পরিবার বাস করেন। সকলের জীবিকা কৃষিকাজ। এই এলাকায় গোটায় কাঁটাতার থাকলেও ওই এলাকায় কয়েকশো মিটার উন্মুক্ত আছে। কাঁটাতার দেওয়া নেই। সেই কাজটিই শুরু করেছিলেন বিএসএফ আধিকারিকরা। শনিবার পিলার পোঁতার কথা ছিল। কাজ শুরু হতেই বিএসএফ-এর কাছে আসেন এলাকাবাসী। নিজেদের অসুবিধার কথা তুলে ধরেন তাঁরা। অপরদিকে, বিএসএফ-এর তরফেও আশ্বাস দেওয়া হয় গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার।

