দক্ষিণ দিনাজপুর: বছর তাঁর ষাট পেরিয়েছে। প্রথম পক্ষের স্বামী-মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিয়েও হয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে সম্পর্ক হয়েছিল পাশের গ্রামেরই অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে। প্রথম স্বামীকে ছেড়ে তাঁর সঙ্গেই ঘর বেঁধেছিলেন বৃদ্ধা। এবার সেই ঘর থেকেই উদ্ধার হল বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম সরস্বতী ভুঁইমালি। তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠছে দ্বিতীয় স্বামী-সহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। সরস্বতীর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের এলেন্দার এলাকায়। রবিবার বিকেলে দ্বিতীয় স্বামী চন্দন মিশ্রের বাড়ি থেকে সরস্বতী ভুঁইমালির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে যায় তপন থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে সোমবার তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ঠায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে মৃতার পরিবারের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে তপন থানায়।
জানা গেছে, সরস্বতী ভুঁইমালির প্রথম স্বামীর নাম বিনোদ ভুঁইমালি। প্রথম পক্ষের সন্তান ও স্বামী সকলেই রয়েছেন। তবে বেশ কিছু সময় ধরে সরস্বতী লস্করহাটে তাঁর মেয়ের বাড়িতে থাকতেন। এদিকে কয়েক বছর আগে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে গ্রামেরই প্রতিবেশী চন্দন মিশ্রের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন সরস্বতী ভুঁইমালি। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, রবিবার সকালে লস্করহাটে মেয়ের বাড়ি থেকে এলেন্দারে চন্দন মিশ্রের বাড়িতে যান। এরপর বিকেলে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সরস্বতীর।
এদিকে ঘটনার পর থেকে দ্বিতীয় স্বামী চন্দন মিশ্র ও তাঁর পরিবারের লোকের কোনও খবর নেই। এমনকি একবারের জন্য কেউ হাসপাতালেও খোঁজ নিতে যাননি বলে দাবি৷ সেই জায়গা থেকে মৃতার মেয়ে-সহ অন্যান্যদের অভিযোগ, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। দ্বিতীয় স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্য়দের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলছেন প্রথম পক্ষের মেয়ে। এনিয়ে তাঁরা
থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
মেয়ে বলেন. “মা তো ভালোভাবেই সকালে খাওয়াদাওয়া করে গেল। হঠাৎ এমন কী হল যে আত্মঘাতী হবেন? চন্দন মিশ্রের বাড়িতে যাতায়াত ছিল মায়ের। এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে।” পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।