Balurghat: স্বপ্নাদেশে শুরু পুজো, প্রতিমা তৈরির পর রাতারাতি বদলে গিয়েছিল গণেশ-কার্তিকের আসন! ১৮৫ বছর ধরে এই পুজো হয় ব্যতিক্রমী নিয়মেই

Balurghat Durga Puja: সাহা বাড়ির দুর্গাপুজোর বিশেষ আকর্ষণ প্রতিমার গড়ন। এখানে দেবী দুর্গার স্থান অপরিবর্তিত হলেও সন্তানদের আসন যেন অদ্ভুত নিয়মে বদলে গিয়েছে। গণেশ যেখানে ডানদিকে থাকার কথা, তিনি বসেন বাঁদিকে। আর কার্তিক থাকেন দুর্গার ডান পাশে। কথিত আছে, প্রথম বছরে শিল্পী নিয়ম মতো প্রতিমা গড়েছিলেন।

Balurghat: স্বপ্নাদেশে শুরু পুজো, প্রতিমা তৈরির পর রাতারাতি বদলে গিয়েছিল গণেশ-কার্তিকের আসন! ১৮৫ বছর ধরে এই পুজো হয় ব্যতিক্রমী নিয়মেই
বালুরঘাটের সাহা বাড়ির পুজোImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 29, 2025 | 4:52 PM

বালুরঘাট: বালুরঘাটের বনেদি বাড়ির পুজো গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাহা বাড়ির পুজো। এবারে এই পুজো ১৮৫ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই পুজোর ইতিহাসে জড়িয়ে রয়েছে গল্প। এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা বনমালী সাহা রায়। তিনি বাংলাদেশের পাবনা জেলার জামাত্তার নিবাসী ছিলেন। ব্যবসার সূত্রে নদীপথে বালুরঘাটে আসা যাওয়া করতেন। সেই সময় তিনি বাড়িতে দুর্গাপূজা শুরুর স্বপ্নাদেশ পান। তারপর থেকেই বালুরঘাটের বিশ্বাসপাড়ার সাহা বাড়িতে শুরু হয় এই দুর্গাপুজো। সেই থেকে আজও একই ভাবে সাহা বাড়িতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মায়ের পূজা চলে আসছে।

সাহা বাড়ির দুর্গাপুজোর বিশেষ আকর্ষণ প্রতিমার গড়ন। এখানে দেবী দুর্গার স্থান অপরিবর্তিত হলেও সন্তানদের আসন যেন অদ্ভুত নিয়মে বদলে গিয়েছে। গণেশ যেখানে ডানদিকে থাকার কথা, তিনি বসেন বাঁদিকে। আর কার্তিক থাকেন দুর্গার ডান পাশে। কথিত আছে, প্রথম বছরে শিল্পী নিয়ম মতো প্রতিমা গড়েছিলেন। কিন্তু প্রতিমা তৈরি হওয়ার পরদিন ভোরে দেখা যায় গণেশ ও কার্তিকের আসন বদলে গিয়েছে। শিল্পী ফের আগের মতো গড়লেও বারবার একই ঘটনা ঘটতে থাকে।

অবশেষে বনমালী সাহা রায় স্থির করেন, এভাবেই হয়তো মা পুজো নেবেন। তাই প্রতিমার উল্টো গড়নেই পুজোর নির্দেশ বনমালী সাহা রায়। সেই থেকে সেই একই নিয়মে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এখনও পুরনো মন্দিরে দেবীর আরাধনা হয়।

সপ্তমীর বিকেলে মন্দির দালানে খাওয়া দাওয়ার পর আড্ডায় বসেন পরিবারের সদস্যরা৷ পুজো উপলক্ষে সকলেই আসেন সাহা বাড়িতে। খাওয়া দাওয়ার পর হয় আড্ডা। পুজোর বাকি দিনে খাওয়া দাওয়ার কী প্ল্যান আছে, সেই সব নিয়ে বসে আড্ডার আসর। হাসি গল্পে মেতে ওঠে পরিবারের সকলে।