Balurghat TMC Leader: পুরসভায় হাজির হয়েই কর্মীকে সপাটে চড়-থাপ্পড়, তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’-তে স্তম্ভিত সকলে
Balurghat: অভিযুক্ত নেতা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি। নাম রাকেশ শীল।
বালুরঘাট: পুরসভায় ‘দাদাগিরি’ তৃণমূল নেতার। কর্তব্যরত এক পুর কর্মীকে পুরসভার ভিতরেই মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার অচলাবস্থা তৈরি হয় বালুরঘাট পুরসভায়। অভিযুক্ত নেতা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি। নাম রাকেশ শীল। তাঁর ‘দাদাগিরির’ প্রতিবাদে এদিন কর্মবিরতিতে চলে যান বালুরঘট পুরসভার কর্মীরা। বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ জানান চেয়ারম্যানের কাছেও। যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত নেতার দাবি, তিনি কাউকেই মারধর করেননি। এমনকী যে কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তাঁকেও তিনি চেনেন না।
মঙ্গলবার দুপুরে বালুরঘাট পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে প্রথম বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেই বৈঠকের আগেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরসভার অন্দরের পরিবেশ। পুর কর্মী রুদ্র প্রসাদ সাহাকে কর্তব্যরত অবস্থাতেই আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি রাকেশ শীল চড় মারেন বলে অভিযোগ। সহকর্মীর প্রতি এহেন আচরণে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাকি কর্মীরা। ঘটনার পরেই তাঁরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। এছাড়াও, তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পুরসভায়। ফলে কর্ম সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন এই অচলাবস্থা তৈরি হয়।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? ক্ষুব্ধ কর্মীদের দাবি, সোমবার পুরসভায় কিছু সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন এক মহিলা। কিন্তু একাধিকবার কর্মীদের তরফ এটা জিজ্ঞাসা করা হলেও তা স্পষ্ট করে বোঝাতে পারেননি তিনি। এরপর কার্যত নিরাশ হয়ে কর্তব্যরত কর্মী রুদ্র প্রসাদ সাহা ওই মহিলাকে বলেন, পরিবারের অন্য কোনও সদস্যকে নিয়ে আসতে। যিনি মূল সমস্যাটি বোঝাতে পারবেন। তাঁর কথা মেনে সেদিনের মত চলেও যান ওই মহিলা।
এরপর মঙ্গলবার, তিনি ফের একাই আসেন। একইভাবে তিনি নিজের সমস্যা বোঝানোর চেষ্টা করলেও ধোঁয়াশাতেই পড়ে থাকেন রুদ্রপ্রসাদ বাবু। অভিযোগ, ওই মহিলা ফিরে যাওয়ার পর হঠাৎ দুপুরবেলা তৃণমূল নেতার রাকেশ শীল পুরসভায় আসেন। রুদ্রপ্রসাদ বাবুকে লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় তখনই তাঁকে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় ঘরের পুরসভার বাকি কর্মীরাও কাজ করছিলেন।
শাসক দলের নেতার এহেন কার্যকলাপে কার্যত হতভম্ব হয়ে যান তাঁরা। এর পরেই তারা একযোগে প্রতিবাদে সরব। বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি ঘোষণার পাশাপাশি গোটা বিষয়টি নিয়ে বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হন। যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রাকেশ শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, তিনি কাউকেই মারধর করেননি। এমনকি রুদ্রপ্রসাদ বাবুকেও তিনি চেনেন না। প্রসঙ্গত, ঘটনার পর থেকেই কার্যত থমথমে হয়ে যায় বালুরঘাট পুরসভার অন্দরের পরিবেশ। পুরসভার চেয়ারম্যান কী পদক্ষেপ নেন সেই দিকেই তাকিয়ে কর্মীরা।
আরও পড়ুন: BJP: দুষ্কৃতীরাও বসেছে মণ্ডল সভাপতির পদে! বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ইস্তফার হুঁশিয়ারি বিজেপি কর্মীদের