BJP: দুষ্কৃতীরাও বসেছে মণ্ডল সভাপতির পদে! বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ইস্তফার হুঁশিয়ারি বিজেপি কর্মীদের
Hooghly: নিচু তলার বিজেপি কর্মীদের দাবি, যার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁকেও মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছে।
হুগলি: ‘গৃহযুদ্ধ’ যেন থামছেই না বিজেপির অন্দরে।অভিযোগের তালিকা ক্রমে বেড়েই চলেছে, কমার কোনও লক্ষণ নেই! মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, শিলিগুড়ির পর সেই তালিকায় যুক্ত হল হুগলির নাম। গণ ইস্থফার হুঁশিয়ারি বিজেপি কর্মীদের।
ক্ষোভের আঁচ ছিল। তাই দু’দিন আগে মন্ডল সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেও প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার হুগলি সাংগঠনিক জেলার তিরিশ জন বিজেপি মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করার পরেই ক্ষোভ দেখা গেল বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। তাঁদের হুঁশিয়ারি যে যা পদে রয়েছেন তার থেকে পদত্যাগ করবেন। শুধু তাই নয়, আগামীকাল বিজেপি জেলা দফতরে গিয়ে তাঁরা ইস্থফা দেবে বলেও জানান।
প্রাক্তন এক মণ্ডল সভাপতি সন্দীপ সাধুখাঁ বলেন, ‘যাঁদের মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছে তাঁরা দলের কোনও কাজে থাকে না। আগে দলের কোনও পদে থাকলে তাঁকেই মণ্ডল সভাপতি করা যায়। এক্ষেত্রে তাও মানা হয়নি। রাজ্য-কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া বয়সের সীমাও মানা হয়নি। জেলা সভাপতি তাঁর পেটুয়া লোকদের সভাপতি করেছে রাজ্যের নির্দেশ অমান্য করে।’ এরপর হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘নতুন জেলা সভাপতি হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সব পদ লোপ পায়। আবার নতুন করে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের পুনর্বহাল করা হতে পারে।বিজেপিতে তিন থেকে ছয় বছর মেয়াদ কাল একজন সভাপতির।সে যেই হোক তাঁকে সরতে হয়। সেই সরে যাওয়া নিয়ে হয়ত কারোর দুঃখ হতে পারে।আমি বলব দুঃখ ভুলে যেতে।কারণ আরও অনেক জায়গা আছে যেখানে তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।বাইরে ক্ষোভ না দেখিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা করলে ভালো।আর পদ থাকলে তবে তো ইস্তফা।”
বিজেপি কর্মীদের কী অভিযোগ? নিচু তলার বিজেপি কর্মীদের দাবি, যার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁকেও মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজেপি অর্থপাচারের বিরুদ্ধে লড়ছে আর যার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তাঁকে মণ্ডল সভাপতি করা হল কী করে? দুষ্কৃতি, যাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে এমন সব লোককে পদ দেওয়া হয়েছে।মণ্ডল থেকে নাম যায়নি, এমন লোককেও সভাপতি করা হয়েছে।