
বালুরঘাট: বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে লাগাতার অনুপ্রবেশের চেষ্টার খবর পাওয়া যায়। ভারতে অনুপ্রবেশের পর বিভিন্ন জায়গায় বসবাস শুরু করে। অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়লে যেমন তাদের সাজা হয়, তেমনই জেনেশুনে অনুপ্রবেশকারীকে আশ্রয় দিলেও সাজা হবে। তেমনই ঘটল বালুরঘাটে। ভারতে অনুপ্রবেশকারী এক বাংলাদেশি নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার দায়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও আশ্রয়দাতা ভারতীয় নাগরিকের সাজা ঘোষণা করল বালুরঘাট জেলা আদালত। সোমবার এই মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশি রবিউল ইসলাম(২৯) ও কুমারগঞ্জের বাসিন্দা খাইরুল মণ্ডলকে ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।
জেলার সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, বছর খানেক আগে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার দণ্ডপানি এলাকার রবিউল ইসলাম ভারতে অনুপ্রবেশ করে। এবং সে কুমারগঞ্জ ব্লকের জাখিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসরাপাড়ার বাসিন্দা খাইরুল মণ্ডলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। শুধু আশ্রয় দেওয়া নয়, ওই বাংলাদেশি খাইরুল মণ্ডলের তথ্য দিয়ে জাল আধার কার্ড তৈরি করে। এই অভিযোগে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর দু’জনকেই পুলিশ গ্রেফতার করে। পাশাপাশি আশ্রয়দাতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। অবশেষে গ্রেফতারের এক বছরের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণা করলেন বিচারক। ধৃত বাংলাদেশি রবিউলকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বালুরঘাট জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ (ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট) অনিল কুমার কুশাওয়া।
অন্যদিকে, রবিউলকে আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে খাইরুল মণ্ডলকেও ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, “অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়লে আইন অনুযায়ী তাদের বিচার হয়ে থাকে। তবে এই মামলায় আশ্রয়দাতার সাজা হয়েছে, যেটা তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, উনি জেনেশুনে একজন অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন।”