Bank Fraud: প্যানের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করিয়ে ফাঁপরে বালুরঘাটের দিনমজুর, ঘরে এল দিল্লি পুলিশ
Bank Fraud: গত ১০-১৫ দিন আগে দিল্লি পুলিশ হঠাৎ দিলীপের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়৷ বলা হয় তাঁর নামে একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷ সেই অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েক লাখ টাকা লোন নেওয়া হয়৷ কিন্তু, সেই টাকা আর ফেরত দেওয়া হয়নি। সেই টাকা পরিশোধ করতে হবে৷ তা না হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।

বালুরঘাট: আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। আতঙ্ক বাংলাজুড়ে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, সব জায়গা থেকে আসছে একই অভিযোগ। এদিনই রায়গঞ্জের এক স্কুল শিক্ষক আধার জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। এবার বালুরঘাট। তবে ঘটনা একটু অন্য। অভিযোগ, প্যানকার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্কের অছিলায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার হয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার তিওর মালিপাড়ার এক যুবক। ঘটনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হলেও শুরুতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ওই যুবক। যা নিয়েও তৈরি হয়েছে চাপানউতোর।
সূত্রের খবর, যুবকের বাড়ি হিলি থানার তিওর মালিপাড়ায়। নাম দিলীপ মালি৷ পেশায় দিনমজুর ও ভ্যানচালক। অভিযোগ, গত ডিসেম্বর মাসে তাঁর কাছে এসেছিলেন ত্রিমোহিনীর ডাঙাপাড়ার খোকন মালি। জানান, প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করলেই সরকার ২ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। এদিকে দিলীপের সংসারে দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। পরিচিতের এই কথা শুনে খুশিই হন দিলীপ। আগু-পিছু না ভেবে আধার ও প্যানকার্ড দিয়ে দেন দিলীপ মালি। এরপর স্থানীয় একটি ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে আধার ও প্যানকার্ডের লিঙ্ক করানো হয়৷ সূত্রের খবর, এর পরের দিন ভিডিয়ো কলে কোনও হিন্দিভাষী লোক জানান সব হয়ে গিয়েছে৷ এরপরই দিলীপকে ২ হাজার টাকা ওই যুবক দেয়। টাকা পেয়ে বেশ খুশিও হয়েছিলেন ওই যুবক। সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু, কে জানত সামনেই অপেক্ষা করছে বড় বিপদ।
গত ১০-১৫ দিন আগে দিল্লি পুলিশ হঠাৎ দিলীপের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়৷ বলা হয়, তাঁর নামে একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷ সেই অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েক লাখ টাকা লোন নেওয়া হয়৷ কিন্তু, সেই টাকা আর ফেরত দেওয়া হয়নি। সেই টাকা পরিশোধ করতে হবে৷ তা না হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এখন নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে থানা থেকে সাইবার ক্রাইম থানা, জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘুরে বেড়াচ্ছেন দিলীপ মালি। ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা খোকন মালি ও তার মা মাধবী মালির বিরুদ্ধে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন দিলীপ। সূত্রের খবর, কলকাতায় দিলীপের নামে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেই অ্য়াকাউন্ট থেকেই করা হয়েছে আর্থিক প্রতারণা। যদিও এ নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হতেই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ মালি বলেন, “গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে অভিযুক্ত খোকন মালি আমার স্ত্রীকে জানায় মোবাইল সিমের অফার চলছে। আধার কার্ডের সঙ্গে প্যান কার্ডের লিঙ্ক করলে ২ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। গ্রামের সকলেই করছিল৷ তাই আমিও আধার ও প্যান কার্ড দিই। প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক হবে ভেবেই অভিযুক্তদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যাঙ্কে গিয়ে প্যান-আধার লিঙ্ক করি। এরপরই, মোবাইলের ভিডিয়ো কলে এক হিন্দিভাষীর সঙ্গে আমাকে কথা বলিয়ে দেয় খোকন। এরপর ২ হাজার টাকা আমাকে দেয়।”
