Food Poisoning: শ্রাদ্ধ বাড়ির বেঁচে যাওয়া খাবার দেওয়া হয়েছিল আবাসিকের বাচ্চাগুলোকে, গ্রাম জুড়ে হাহাকার

Food Poisoning: খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান চিকিৎসকদের। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। পাশাপাশি শিশুদের উপর বিশেষ নজর রাখছেন।

Food Poisoning: শ্রাদ্ধ বাড়ির বেঁচে যাওয়া খাবার দেওয়া হয়েছিল আবাসিকের বাচ্চাগুলোকে, গ্রাম জুড়ে হাহাকার
খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ বাচ্চা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 24, 2023 | 10:18 AM

দক্ষিণ দিনাজপুর: শ্রাদ্ধ বাড়ির উদ্বৃত্ত খাবার খেয়ে অসুস্থ আশ্রমের ৩২ জন আবাসিক শিশু। অসুস্থদের মধ্যে মোট ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পুরসভার বুনিয়াদপুর বড়াইল উপজাতি কল্যাণ সমিতি আশ্রমের। এদিকে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার জন্য রাতেই রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুরা। খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান চিকিৎসকদের। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। পাশাপাশি শিশুদের উপর বিশেষ নজর রাখছেন।জানা গেছে, বুনিয়াদপুর পুরসভার বড়াইল উপজাতি কল্যাণ সমিতি আশ্রমে প্রায় ৩২ জন শিশু রয়েছে। গত বুধবার রাতে গঙ্গারামপুরের একটি পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের উদ্বৃত্ত খাবার নিয়ে আসা হয় সন্ধ্যা সাতটার সময়। রাত আটটার সময় আশ্রমের সমস্ত শিশুদের খাবার দেওয়া হয়।

জানা যাচ্ছে, পরদিন সকাল থেকেই পেট ব্যথা শুরু হয় শিশুদের৷ এমনকি বমি ও পায়খানাও হতে থাকে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি খাওয়ারের নমুনাও খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। প্রয়োজনে ওই আশ্রমে স্বাস্থ্যআধিকারিকরাও যাবেন। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের উদ্বৃত্ত খাবার মেনুতে ছিল সরিষা বাটা, পাবদা মাছ, ভাত,ডাল-সহ আরও অন্যান্য খাবার। সেই খাবার আশ্রমের শিশুরা খায়। বৃহস্পতিবার স্কুলে গেলে সমস্ত শিশুর পেট ব্যথা, বমি,পায়খানা সহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। বিষয়টি নজরে আসে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের। বিষয়টি জানানো আশ্রম কর্তৃপক্ষকে।

আশ্রমে আনার পরই তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এই আশ্রমে প্রত্যেক শিশুর বয়স ২ থেকে ৯ বছরের মধ্যে। রাতে ফের পেট ব্যথা বাড়লে তাদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। ৩২ জনের মধ্যে ২ জনকে ভর্তি করতে হয় ৷ বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়৷ পুরো ঘটনার উপর নজর রাখছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

এবিষয়ে আশ্রম কর্তৃপক্ষ চাঁদমণি সরেন বলেন, “এমন খাবার অনেকেই দিয়ে যান। যা বাচ্চাদের খাওয়ানো হয়। আশ্রমের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় অনেকেই খাবার দিয়ে সহযোগিতা করেন। একটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের খাওয়ার দেওয়া হয় বাচ্চাদের। যা খাওয়ার পর দিন সকলেই পেটের সমস্যায় ভুগছে।”

অন্যদিকে এই বিষয়ে বংশীহারী ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পুলকেশ সাহা বলেন,  “একটি আশ্রমের শিশুরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসে। সকলের পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দুজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”