Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Teacher Suicide: লটারির মারাত্মক নেশা জানতেন অনেকেই, তা বলে এমন কাজও করতে পারেন! প্রধান শিক্ষকের কীর্তিতে স্তম্ভিত সকলে

South Dinajpur: মৃত স্কুল শিক্ষকের নাম শান্তনু মুখোপাধ্যায় (৫১)। বাড়ি বুনিয়াদপুর পুরসভার কোর্ট মোড় এলাকায়৷ গতকাল সন্ধেবেলা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই শিক্ষক।

Teacher Suicide: লটারির মারাত্মক নেশা জানতেন অনেকেই, তা বলে এমন কাজও করতে পারেন! প্রধান শিক্ষকের কীর্তিতে স্তম্ভিত সকলে
বালুরঘাটে মৃত্যু (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2023 | 5:51 PM

বংশীহারী: পেশায় তিনি শিক্ষক (Teacher)। তবে লটারি কাটার নেশাও ছিল তাঁর। সেই কারণে প্রচুর ধীরে-ধীরে প্রচুর ঋণ জমা হয়েছে। তবে ঋণের বোঝা এতটাই বেড়ে যাবে হয়ত কল্পনারও অতীত ছিল তাঁর। ঋণ মেটাতে না পেরে শেষমেশ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

মৃত স্কুল শিক্ষকের নাম শান্তনু মুখোপাধ্যায় (৫১)। বাড়ি বুনিয়াদপুর পুরসভার কোর্ট মোড় এলাকায়৷ গতকাল সন্ধেবেলা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই শিক্ষক। তিনি বুনিয়াদপুর পুরসভার আলীগারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এদিকে রাতের বেলা বিষয়টি নজরে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বংশীহারী থানার পুলিশ৷ পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে শুক্রবার তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় ও শিক্ষক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিশ।

জানা গেছে, শান্তনু মুখোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই বুনিয়াদপুর কোর্ট মোড় এলাকায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন। এই প্রধান শিক্ষকের প্রথমে বাড়ি ছিল বুনিয়াদপুর পুরসভার ১০ নাম্বার ওয়ার্ডে। প্রচুর ঋণ থাকার কারণে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িটি বিক্রি করে দেন তিনি। তারপর থেকেই ভাড়া বাড়িতে থাকেন তিনি। এদিকে আর্থিক অনটন থাকার কারণে মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ লেগেই থাকত।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হলেও প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে লটারি কাটার নেশা ছিল শান্তনুর। যা গোটা বুনিয়াদপুরবাসী জানে। যার ফলে বাজারে প্রচুর ঋণ হয়ে যায়। যা নিয়ে তিনি মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। যারা টাকা পেতেন তারা প্রতিনিয়ত চাপ দিতেন বলে অভিযোগ। যা সহ্য করতে পারেননি ওই ব্যক্তি। অবশেষে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গতকাল সন্ধ্যায় বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই প্রধান শিক্ষক।

মৃতের আত্মীয় বলেন, “লটারির মারাত্মক রকমের নেশা ছিল। সেই কারণে সর্বস্ব খুইয়েছেনও। কারণ পাওনাদাররা রোজই টাকা চাইত। সেই কারণেই প্রতারণার জালে জড়িয়ে পড়েছিল। শেষে এই সিদ্ধান্ত।”