বালুরঘাট: বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP State President) হওয়ার পর এই প্রথম দুর্গাপুজো (Durga Puja 2021) সুকান্ত মজুমদারের। বালুরঘাট শহরের নিজের পাড়ার ক্লাব মৈত্রী চক্রে সস্ত্রীক অষ্টমীর দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ছেলের সঙ্গে ক্যাপ ফাটালেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।
বুধবার সকাল সকাল মৈত্রী চক্র ক্লাবে অঞ্জলি দিতে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বাড়িতে অষ্টমীটা কাটাবেন। তাই সপ্তমীতেই অর্থাৎ, ১২ অক্টোবর তিনি কলকাতা থেকে বালুরঘাটে নিজের বাড়িতে চলে আসেন সুকান্তবাবু। প্রত্যেক বছর পুজোর সময় পরিবার ও নিজের এলাকায় সময় কাটাতে ভালবাসেন তিনি। একদিকে সাংসদ, অন্যদিকে তিনি রাজ্য সভাপতি। ব্যস্ততা বেড়েছে। কিন্তু তার মাঝেও সময় বের করে নিলেন। তাই দুর্গাপুজোর মধ্যে কলকাতার সব কাজ গুছিয়ে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন সপ্তমীতে।
বুধবার সকালে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে পাড়ার পুজো মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে পৌঁছে যান বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি। পুজোর কটা’দিন কোন দলীয় কাজ নয়, শুধুমাত্র বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করছেন তিনি। সেখানেই বাড়াবেন জনয়ংযোগ বলে জানালেন সুকান্ত মজুমদার।
সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে যাওয়ার কথা রয়েছে সংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতির। পাড়ার সকলের সঙ্গেই মহাষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেন সুকান্ত। অঞ্জলি দিয়ে মায়ের কাছে সকলের শুভকামনা প্রার্থনা করেন। তা কী প্রার্থনা করলেন? সুকান্তবাবুর কথায়, “মায়ের কাছে একটাই জিনিস চেয়েছি। পশ্চিমবঙ্গে যেন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। রাজনৈক হিংসা যেন পশ্চিমবাংলার বুক থেকে মুছে যায়। কেউ ভিন্ন মত, ভিন্ন দল করার জন্য, কাউকেও যেন আরেক দলের হাতে আক্রান্ত হতে না হয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির যে খারাপ একটা দিক উঠে এসেছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে, আমরা যেন তা আস্তে আস্তে পেরিয়ে আসি।”
আরও পড়ুন: Corona Update: গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনার বলি ২, রাজ্যে ১০! জানেন আপনার জেলার পরিস্থিতি?
এদিকে কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো বিতর্ক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বুর্জ খালিফার আদলে তৈরি মন্ত্রী সুজিত বসুর পৌরহিত্যে শ্রীভূমির প্যান্ডেলে ব্যবহৃত লেজ়ার আলোয় চোখ ধাঁধাচ্ছে পাইলটদের। এ জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও সপ্তমীর রাতে আর সেই আলো ব্যবহার করেননি পুজো কমিটির কর্তারা। এ নিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, ওই এলাকার পাশেই বিমানবন্দর। ওই এলাকাতেই তিনি থাকেন। পুজো সবার। তাই সব কিছু নিয়ম মেনেই পুজো করা উচিৎ। এভাবে কারও অসুবিধা বাঞ্ছনীয় বলে জানান তিনি।