AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Balurghat: ‘রাতে ভালই ছিল, সকালে এসে দেখি বাবা নেই’, বালুরঘাটে হাসপাতাল থেকে রাতারাতি কোথায় গেল রোগী?

Balurghat:মঙ্গলবার রাতে বালুরঘাট থানায় যান নিখোঁজ রোগীর ছেলে। এদিকে বুধবার হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। নিখোঁজ ওই ব্যক্তির নাম সুনীল ওরাও (৫৫)। বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের এক মাইলে।

Balurghat: ‘রাতে ভালই ছিল, সকালে এসে দেখি বাবা নেই’, বালুরঘাটে হাসপাতাল থেকে রাতারাতি কোথায় গেল রোগী?
শোরগোল হাসপাতাল চত্বরে Image Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2024 | 2:36 PM
Share

বালুরঘাট: চিকিৎসা চলছিল বালুরঘাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। কিন্তু, চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই নিখোঁজ রোগী। ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল হাসপাতাল চত্বরে। বালুরঘাট থানার পাশাপাশি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে রোগীর পরিবার। অভিযোগ পেতেই রোগীর খোঁজে মাঠে নেমেছে পুলিশ। কিন্তু, তিন দিন ধরে এখনও দেখা মেলেনি রোগীর। কিন্তু, হাসপাতালের ছত্রছায়ায় থেকেও কীভাবে এক রোগী এইভাবে গায়েব হয়ে যেতে পারেন সেই প্রশ্ন তুলছে রোগীর পরিবারের সদস্যরা। উগড়ে দিচ্ছেন ক্ষোভ। 

অন্যদিকে বিষয়টি জানতে পেরেই জেলা হাসপাতালের তরফে বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বালুরঘাট থানায় যান নিখোঁজ রোগীর ছেলে। এদিকে বুধবার হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। নিখোঁজ ওই ব্যক্তির নাম সুনীল ওরাও (৫৫)। বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের এক মাইলে। শারীরিক অসুস্থতার কয়েকদিন আগে ওই সুনীলকে বালুরঘাট সুুপার স্পেশ্য়ালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর ছেলে। শনিবার থেকে বেশ খানিকটা সুস্থ বোধও করেন। পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, রাতে সুনীলকে দেখে তাঁরা বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। 

তাঁর ছেলে জানাচ্ছেন, রবিবার সকালে এসে দেখি বাবা নেই। হাসপাতালের নার্স বা অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা বলতেও পারছে না কখন থেকে তিনি নিখোঁজ। পরবর্তীতে ওই বিভাগের অন্য রোগীদের কাছ থেকে জানতে পারেন শনিবার মধ্যরাত থেকেই নিখোঁজ ওই ব্যক্তি। 

এদিকে ভরা হাসপাতাল থেকে এক রোগী নিখোঁজ হয়ে গেলেও কেন পরিবারের লোকজনকে হাসপাতালের তরফে শুরুতে কোনও খবর দেওয়া হল না সেই প্রশ্নও উঠছে। হাসপাতালজুড়ে রয়েছে সিসিটিভি। হাসপাতালে অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীও রয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। এত কিছুর পরও একজন রোগী কিভাবে নিখোঁজ হয়ে যেতে পারেন সেই প্রশ্নও উঠছে।