
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সকালে তার দাদা বলেছিলেন, ‘ছোট ভাই ওপার বাংলাতেই জন্মেছে, বড় হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক যে সে ওখানকারই ভোটার হবে।’ সূর্য অস্ত যেতেই সেই দাদার মন্তব্য কেটে দিলেন নিউটন দাস। তার দাবি, গোটা দিন ধরে তাকে নিয়ে যে সকল কথা-বার্তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ঘুরে বেড়িয়েছে তার সমস্তটাই মিথ্য়া। তিনি কাকদ্বীপেরই ভোটার।
শনিবার সকাল থেকে কাকদ্বীপ চত্বরে নিউটন নিয়ে টানাপোড়েন। তিনি বাংলাদেশের নাকি ভারতের নাগরিক, সেই নিয়ে তুমুল উত্তেজনা। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি তুলে একাংশের অভিযোগ নিউটন বাংলাদেশি। তিনি যোগ দিয়েছিলেন গত হাসিনা-বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে। আবার সেই নিউটনের নামই জ্বলজ্বল করতে দেখা গেল কাকদ্বীপের ভোটার তালিকায়। এমনকি, সে যে ওপার বাংলার নাগরিক সেই কথা স্বীকার করেছেন নিউটনের দাদা তপন দাসও।
তবে বেলা গড়াতেই এই ‘বাংলাদেশি’ তকমা মুখ খুললেন নিউটন। সাফ বললেন, ‘আমি কাকদ্বীপের বাসিন্দা। আমার কিছু পৈতৃক সম্পত্তির হদিশ পেতে গত বছর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে গিয়ে জুলাই আন্দোলনের মুখে পড়ে যাই। আমাকে নিয়ে যে সব তথ্য ছড়াচ্ছে সবটাই ভুয়ো, গুজব ও চক্রান্ত।’
নিজের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রসঙ্গকে আরও নিশ্চিত করতে নিউটন বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকেই আমি কাকদ্বীপের ভোটার। এমনকি, ২০১৬ সালে আমি কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাকে ভোট দিয়েছিলাম। তবে ঠিক তার পরের বছরেই আমার ভোটার কার্ডটা হারিয়ে যায়। এরপর ২০১৮ সালে আমি আবার বিধায়কের সহযোগিতায় ভোটার কার্ড তৈরি করি।’