SDIN Suicide: গায়ে হলুদের আগের মুহূর্তেই বাবার কথা ভেবে মা-মরা মেয়েটা এমনও করতে পারে! ভাবতেই পারছেন না কেউ

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 11, 2022 | 8:02 AM

SDIN Suicide: পরিবারের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, শনিবার ছিল সরস্বতীর বিয়ে। আজ গায়ে হলুদ ছিল। বাড়িতে ব্যাস্ততাও ছিল। বুধবার বিকেলে বাড়িতে কেউ ছিলেন না।

SDIN Suicide:  গায়ে হলুদের আগের মুহূর্তেই বাবার কথা ভেবে মা-মরা মেয়েটা এমনও করতে পারে! ভাবতেই পারছেন না কেউ
দক্ষিণ দিনাজপুরে আত্মঘাতী তরুণী (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

দক্ষিণ দিনাজপুর: পরিবারের পছন্দতেই বিয়ে ঠিক হয়েছিল। ছাদনাতলাও ছিল প্রস্তুত। বাড়িতে আসতে শুরু করেছিলেন আত্মীয় স্বজনরা। কিন্তু তখনও বাকি ছিল বেশ কিছু আয়োজন সারা। বাকি ছিল অতিথিদের খাবারের বন্দোবস্ত করাও। কিন্তু পরিবারের ভাঁড়ার হয়ে গিয়েছিল শূন্য। শনিবার বিয়ে। তার আগে বিয়ের সম্পূর্ন আয়োজন করতে পারেনি পরিবার। বিয়ের দিন যাতে লোক লজ্জার মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক তরুণী। মৃতের নাম সরস্বতী কিস্কু (২১)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের একমাইল টাকশালা এলাকায়।

পরিবারের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, শনিবার ছিল সরস্বতীর বিয়ে। আজ গায়ে হলুদ ছিল। বাড়িতে ব্যাস্ততাও ছিল। বুধবার বিকেলে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে দেখেন, সরস্বতী গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তে জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

জানা গিয়েছে, সরস্বতী কিস্কুর সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম থানার খোরনা এলাকার পেশায় কৃষক বিজয় মুর্মুর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। বেশ কিছু দিন আগেই বিয়ে ঠিক হয়েছিল। সরস্বতীর বাবা শ্যামল কিস্কু, পেশায় কৃষক। মা অনেক দিন আগেই গত হয়েছেন। বাবা ও মেয়ের সংসার কোনও রকমে চলছিল। মেয়ে বড় হওয়ায় বিয়ে ঠিক করেন শ্যামল। নিজের সাধ্যমত বিয়ের সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি ৷ তবে আর্থিক সঙ্কটের জেরে বড় করে না হলেও সব রকমই আয়োজন করেছিলেন শ্যামল কিস্কু।

বিয়ের জন্য প্যান্ডেলের বাঁশ পোঁতাও হয়ে গেছিল। আত্মীয়-স্বজনরাও বাড়িতে আসতে শুরু করেছিলেন। শুক্রবার থেকেই বিয়ে রীতি রেওয়াজ শুরু হত। কিন্তু তার আগেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল পাত্রী। পরিবার থেকে প্রতিবেশীদের প্রাথমিক অনুমান, বিয়ের জন্য অনেক খরচ, তা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন বাবা। তারপর সব আয়োজন সম্পূর্ণ হয়নি। সেই জায়গা থেকেই লোক লজ্জার ভয় পেয়েছিলেন সরস্বতী। আর তা থেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

যুবতীর বাবা বলেন, “আমি তো আমার মতন করে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ও যে কেন এমনটা করল, সেটা মাথাতেই আসছে না। বাড়িতে লোকজনও আসতে শুরু করেছিল। ওকে দেখে মনে হয়নি কিছুই। তবে বারবার আমাকে বলছিল, বাবা এত টাকা আসবে কোথা থেকে…এটাতেই চলে গেল। ” পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: Asansol Santching: টাকা ভর্তি ব্যাগ লুঠের চেষ্টা, ব্যাঙ্ক কর্মীকে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ির কোপ!

 

Next Article