বালুরঘাট: গোষ্ঠী কোন্দল যেন পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের। একাধিক জেলা থেকে সেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের খবর প্রায়শই উঠে এসেছে। এবার দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে উঠে এল সেই ছবি। বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বদলের পরও কোন্দল পিছু ছাড়ছে না শাসকদলের।
সোমবার রাতে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় পিন্টু রায় নামে এক কর্মী বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পালটা অপর গোষ্ঠীর এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও এনিয়ে এখনো কোনও অভিযোগ হয়নি থানায়। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বালুরঘাট থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, পুরনো তৃণমূল প্রধানকে সরিয়ে ১৯ জানুয়ারি নতুন প্রধান নিয়োগ করা হয়। সোমবার ওই পঞ্চায়েতে নতুন প্রধানের সঙ্গে পরিচয় পর্ব অনুষ্ঠানেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের সামনেই বোয়ালদার গ্রামপঞ্চায়েতে দুই গোষ্ঠীর গোষ্ঠীর হাতাহাতি শুরু করে। যদিও বা জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে বিকেলে গোষ্ঠী কোন্দল মিটলেও রাতেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাঁধে।
এই বিষয়ে জখম ওই কর্মী পিন্টু রায় বলেন, “সোমবার সন্ধে বেলায় দলীয় সভাতে উপপ্রধান পিন্টু বসাকের বিরুদ্ধে কথা বলি। এতেই গোলমাল হয়। যদিও পরে জেলা নেতারা সেসব মিটিয়ে দেন। কিন্তু রাতে উপপ্রধান পিন্টু বসাকের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড দিয়ে হামলা চালায়। আমি একটু সুস্থ হয়েই থানায় অভিযোগ জানাব।” এই ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। না জেনে কিছু মন্তব্য করতে পারবেন না।
অন্যদিকে, পালটা উপপ্রধান পিন্টু বসাক বলেন, পুরো ভিত্তিহীন অভিযোগ। আসলে নতুন প্রধানকে ওদের পছন্দ না। তবে মিটিংয়ে সামান্য বিবাদ হয়েছিল, যদিও তা মিটে যায়। কিন্তু রাতের বেলা পিন্টু রায় নামে ওই ব্যক্তি দলবল নিয়ে বেগুনবাড়ি গ্রামের এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে হামলা করে। তাই গ্রামবাসীরা ক্ষেপে গিয়ে তাকে পালটা মারধর করে।
আরও পড়ুন: Car Accident: বাসকে বাঁচাতে লরিকে ধাক্কা প্রাইভেট গাড়ির, মর্মান্তিক দুর্ঘটনা জলপাইগুড়িতে