
গঙ্গারামপুর: বর্ধমানের পর এবার গঙ্গারামপুর। ফের রোগীকে ভুল রক্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠল। গঙ্গারামপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ এক রোগীকে ভুল রক্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভিন্ন গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয়, আর তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই রোগী।
এদিকে রোগীর অবস্থা খারাপ হতেই রবিবার বিকেলে তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবার পরিজনরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গঙ্গারামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছয় কমব্যাট ফোর্স। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। হাসপাতালে বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে রোগীর পরিবার। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
জানা গিয়েছে, কুশমণ্ডি ব্লকের গোয়ালগাঁও এলাকার বাসিন্দা ২২ বছরের মৌসুমী মার্ডি। কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। দেহে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে প্রথমে তাঁকে কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরিবারকে জানান, রোগীর রক্তের প্রয়োজন রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সেই অনুযায়ী গঙ্গারামপুর ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত সংগ্রহ করেন।
অভিযোগ, চিকিৎসকেরা রোগীর রক্ত স্যাম্পেল ফাইলে দিয়ে ব্লাড ব্যাঙ্কে পাঠান। সেই ফাইল অনুযায়ী ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা এবি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত সরবরাহ করেন এবং সেটি রোগীর দেহে প্রবেশ করানো হয়। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। রক্ত দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রোগী ছটফট করতে শুরু করেন এবং তীব্র শারীরিক যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়।
যদিও এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, গত ৩০ তারিখ কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ওই রোগীকে গঙ্গারামপুরে ভর্তি করা হয়। রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল এবং হিমোগ্লোবিন একদম কম ছিল। এরপরেই তাঁকে রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রক্ত দেওয়ার কিছু সমস্যা হয় রোগীর। রোগীর রক্তের রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ থাকায় রোগীকে চিকিৎসার জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।