২ বাংলাদেশি যুবতীকে কলকাতায় পাচারের চেষ্টা, পাকড়াও ‘রোহিঙ্গা’ যুবক
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল আরও জানায়, রিকিয়া ও আজিদা চলতি মাসেই অসম-বাংলাদেশ সীমান্ত করমগঞ্জ দিয়ে এদেশে ঢোকে। দুই যুবতির নকল পরিচয়পত্র সহ সমস্ত নথি তৈরি করে দেয় সে-ই। এর পর ধৃতদের কাছ থেকে ভুয়ো আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

শিলিগুড়ি: বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় মহিলা পাচারের চেষ্টার অভিযোগে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল নিউ জলপাইগুড়ি পুলিশ। শনিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে আসা তিন জনকে পাকড়াও করা হয়। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, রেগুলার রুটিং চেকিংয়ে এই সন্দেহভাজনরা ধরা পড়েছে।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে আসা কয়েকজনের চলাফেরা এবং ব্যবহারে সন্দেহ হয় তাদের। পুলিশ ওই যুবকদের সঙ্গে থাকা দুই মহিলাকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। এর পর জাহিরুল ইসলাম, রিকিয়া ও আজিদা নামে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, অসমের বদরপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাচ্ছিল তারা।
ধৃত জাহিরুল নিজেকে অসমের বাসিন্দা পরিচয় দেয়। জানায়, তার সঙ্গে থাকা দুই যুবতী বাংলাদেশ কক্সবাজারের বাসিন্দা। সোশ্যাল সাইটে তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে বলে জানায় সে। সে আরও জানায়, কলকাতার এক ব্যক্তির হাতে দুই যুবতিকে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। বিনময়ে মোটা টাকার রফা হয়েছিল। ইতিমধ্যে বেশ কিছু টাকা অগ্রিমও পেয়ে গিয়েছে জাহিরুল।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল আরও জানায়, রিকিয়া ও আজিদা চলতি মাসেই অসম-বাংলাদেশ সীমান্ত করমগঞ্জ দিয়ে এদেশে ঢোকে। দুই যুবতির নকল পরিচয়পত্র সহ সমস্ত নথি তৈরি করে দেয় সে-ই। এর পর ধৃতদের কাছ থেকে ভুয়ো আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তবে জাহিরুল অসমের বাসিন্দা কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা। পুলিশের অনুমান ধৃত ওই যুবক আদতে রোহিঙ্গা। মহিলা পাচার চক্রে জড়িত। এভাবে ভিন দেশি ও ভিন রাজ্যের মহিলাদের পাচার করত সে। এই চক্রে আরও কারা কারা রয়েছে তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দা বাহিনি।
আরও পড়ুন: শীতলকুচির ঘটনায় রাজ্যের ডিজি-কে পদক্ষেপের নির্দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের





