দার্জিলিং: পাহাড় ঘেরা দার্জিলিংয়ের ছোট্ট গ্রাম তাকদা। প্রকৃতি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে এখানে। এ গ্রামেই শৈশব কেটেছে সতপাল রাইয়ের, এ গ্রামেই কেটেছে কৈশোর। বিয়ে, সংসার, ছেলে-মেয়ের জন্ম— বাংলার সঙ্গে গোর্খা রাইফেলসের এই জওয়ানের নাড়ির যোগ। বুধবার সে যোগ চিরতরে ছিন্ন করে চলে গিয়েছেন তিনি। এখনও স্ত্রী মন্দিরা ভাবতেই পারছেন না স্বামী নেই! বুধবারও তো কপ্টারে ওঠার আগে ফোনে বলেছিলেন, ‘নেমে ফোন করব।’ সে ফোন আসেনি। মন্দিরা রাই এখনও বিশ্বাস করতেই পারছেন না, সে ফোন আসবেও না কোনও দিন। শুক্রবার কফিনবন্দি হয়ে গ্রামে ফিরবেন জওয়ান সতপাল রাই।
কপ্টার দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে দেশের ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ (CDS) বিপিন রাওয়াত-সহ ১৩ জনের। তালিকায় রয়েছেন বাংলার জওয়ান সতপাল রাইও। প্রতিরক্ষার সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন দার্জিলিংয়ের তাকদার বাসিন্দা গোর্খা রাইফেলসের জওয়ান সতপাল রাই।
২০০১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন সতপাল রাই। কুড়ি বছর পার করে ফেলেছিলেন সেনাবাহিনীতে। ছেলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীতেই আছেন। বুধবার সিডিএসের সঙ্গে কপ্টারে উড়ানের আগে বাড়িতে ফোন করেছিলেন। সতপাল রাইয়ের স্ত্রী মন্দিরা রাই বলেন, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ফোন করেছিল। হেলিকপ্টার ওড়ার আগে। বলেছিল সিডিএসের সঙ্গে তামিলনাড়ু যাচ্ছি। ওখানে পৌঁছে তোমাকে ফোন করব। অনেক বার ফোনে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পাচ্ছিলাম না। আমার মনে হয়েছিল হয়ত নেটওয়ার্ক নেই। খবরও দেখিনি। এরপরই আমার এক দিদি এসে বলে সিডিএসের হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। আমি আবার দিদিকে বললাম ও তো সিডিএসের সঙ্গেই গিয়েছে।” গত নভেম্বরে দিওয়ালিতে তাকদার বাড়িতে গিয়েছিলেন সতপাল রাই। মা, স্ত্রী, মেয়ের সঙ্গে ছুটি কাটান। সেই শেষবার বাড়িতে আসা। শুক্রবারও ফিরবেন নিজের গ্রামে। তবে কফিনবন্দি হয়ে।
বুধবার ৮ ডিসেম্বর ২০২১ দুপুরে তামিলনাড়ুর কুন্নুরের কাছে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। সুলুর এয়ারবেস থেকে সেনা আধিকারিকদের নিয়ে ওড়ে হেলিকপ্টার। ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিস কলেজের দিকে যাচ্ছিল। নীলগিরি পার্বত্য অঞ্চেল ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ভেঙে পড়ে সেটি। ঘন জঙ্গলের মধ্যে ভেঙে পড়ে সেই বিমান।
দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করা হলেও ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি বায়ুসেনার তরফে। সূত্রের খবর, হাই ট্রান্সমিশন তার বা বিদ্যুৎবাহী তারে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে ওই কপ্টার এত নীচে নেমে এল, তা বোঝা যাচ্ছে না। সেনা আধিকারিকেরা মনে করছেন আবহাওয়াও হতে পারে কারণ। ওই অঞ্চলে গত কিছুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বায়ুসেনার তরফে।
হেলিকপ্টারে ছিলেন মোট ১৪ যাত্রী। তার মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ যাত্রীর মধ্যে ছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত, বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার, লেফট্যানেন্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, এনকে গুরুসেবক সিং, এনকে জিতেন্দ্র কুমার, এনকে বিবেক কুমার, এনকে বি সাই তেজা ও সতপাল রাই।
আরও পড়ুন: Bipin Rawat Live Update: দিল্লিতে আনা হচ্ছে বিপিন রাওয়াতের দেহ, উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী
দার্জিলিং: পাহাড় ঘেরা দার্জিলিংয়ের ছোট্ট গ্রাম তাকদা। প্রকৃতি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে এখানে। এ গ্রামেই শৈশব কেটেছে সতপাল রাইয়ের, এ গ্রামেই কেটেছে কৈশোর। বিয়ে, সংসার, ছেলে-মেয়ের জন্ম— বাংলার সঙ্গে গোর্খা রাইফেলসের এই জওয়ানের নাড়ির যোগ। বুধবার সে যোগ চিরতরে ছিন্ন করে চলে গিয়েছেন তিনি। এখনও স্ত্রী মন্দিরা ভাবতেই পারছেন না স্বামী নেই! বুধবারও তো কপ্টারে ওঠার আগে ফোনে বলেছিলেন, ‘নেমে ফোন করব।’ সে ফোন আসেনি। মন্দিরা রাই এখনও বিশ্বাস করতেই পারছেন না, সে ফোন আসবেও না কোনও দিন। শুক্রবার কফিনবন্দি হয়ে গ্রামে ফিরবেন জওয়ান সতপাল রাই।
কপ্টার দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে দেশের ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ (CDS) বিপিন রাওয়াত-সহ ১৩ জনের। তালিকায় রয়েছেন বাংলার জওয়ান সতপাল রাইও। প্রতিরক্ষার সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন দার্জিলিংয়ের তাকদার বাসিন্দা গোর্খা রাইফেলসের জওয়ান সতপাল রাই।
২০০১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন সতপাল রাই। কুড়ি বছর পার করে ফেলেছিলেন সেনাবাহিনীতে। ছেলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীতেই আছেন। বুধবার সিডিএসের সঙ্গে কপ্টারে উড়ানের আগে বাড়িতে ফোন করেছিলেন। সতপাল রাইয়ের স্ত্রী মন্দিরা রাই বলেন, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ফোন করেছিল। হেলিকপ্টার ওড়ার আগে। বলেছিল সিডিএসের সঙ্গে তামিলনাড়ু যাচ্ছি। ওখানে পৌঁছে তোমাকে ফোন করব। অনেক বার ফোনে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পাচ্ছিলাম না। আমার মনে হয়েছিল হয়ত নেটওয়ার্ক নেই। খবরও দেখিনি। এরপরই আমার এক দিদি এসে বলে সিডিএসের হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। আমি আবার দিদিকে বললাম ও তো সিডিএসের সঙ্গেই গিয়েছে।” গত নভেম্বরে দিওয়ালিতে তাকদার বাড়িতে গিয়েছিলেন সতপাল রাই। মা, স্ত্রী, মেয়ের সঙ্গে ছুটি কাটান। সেই শেষবার বাড়িতে আসা। শুক্রবারও ফিরবেন নিজের গ্রামে। তবে কফিনবন্দি হয়ে।
বুধবার ৮ ডিসেম্বর ২০২১ দুপুরে তামিলনাড়ুর কুন্নুরের কাছে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। সুলুর এয়ারবেস থেকে সেনা আধিকারিকদের নিয়ে ওড়ে হেলিকপ্টার। ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিস কলেজের দিকে যাচ্ছিল। নীলগিরি পার্বত্য অঞ্চেল ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ভেঙে পড়ে সেটি। ঘন জঙ্গলের মধ্যে ভেঙে পড়ে সেই বিমান।
দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করা হলেও ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি বায়ুসেনার তরফে। সূত্রের খবর, হাই ট্রান্সমিশন তার বা বিদ্যুৎবাহী তারে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে ওই কপ্টার এত নীচে নেমে এল, তা বোঝা যাচ্ছে না। সেনা আধিকারিকেরা মনে করছেন আবহাওয়াও হতে পারে কারণ। ওই অঞ্চলে গত কিছুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বায়ুসেনার তরফে।
হেলিকপ্টারে ছিলেন মোট ১৪ যাত্রী। তার মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ যাত্রীর মধ্যে ছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত, বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার, লেফট্যানেন্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, এনকে গুরুসেবক সিং, এনকে জিতেন্দ্র কুমার, এনকে বিবেক কুমার, এনকে বি সাই তেজা ও সতপাল রাই।
আরও পড়ুন: Bipin Rawat Live Update: দিল্লিতে আনা হচ্ছে বিপিন রাওয়াতের দেহ, উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী