
শিলিগুড়ি: অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। নৈরাজ্য গ্রাস করেছে গোটা দেশকে। আর সেই নৌরাজ্যের দেশে চলছে হিন্দু সংখ্যালঘুদের নৃশংস হত্যালীলা। দীপু চন্দ্র দাসের পর অমৃত মণ্ডল নামে আরও এক হিন্দু যুবককে খুন করা হল। প্রতিবেশী দেশে এভাবে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচারে আগেই সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার গর্জে উঠল সাধারণ মানুষও। আর প্রথমেই কড়া পদক্ষেপ। বাংলাদেশিদের জন্য ঝুলল নো এন্ট্রি বোর্ড। মালদহ, শিলিগুড়ির হোটেল ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের পরই এই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। দেশের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বাংলাদেশিদের হোটেলে রুম দেওয়া হবে না। তবে মানবিকতার খাতিরে মেডিক্যাল ভিসায় যারা আসছিলেন, তাদের হোটেল রুম দেওয়া হচ্ছিল। তবে এবার সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হল। হোটেল মালিক সংগঠনগুলির সিদ্ধান্ত, যেভাবে বাংলাদেশ থেকে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে নির্মম, নৃশংস অত্যাচার করে সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হচ্ছে, তাতে আর কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল শিলিগুড়ির হোটেলের দরজা।
এই নিয়ে হোটেল মালিক সংগঠনের এক প্রতিনিধি বলেন, “বাংলাদেশের এখন যা পরিস্থিতি, ওখানে যা হচ্ছে, ছোটখাটো নেতারা শিলিগুড়ি করিডর ও সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যে সব মন্তব্য করছেন, এর প্রতিবাদ করছি আমরা। এবার থেকে মেডিক্যাল ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসায় যে সকল বাংলাদেশি আসছেন, তাদেরও হোটেল দেওয়া হবে না। সংগঠনের অধীনে ১৮২টি হোটেল আছে। এর বাইরেও ৩০-৪০টি হোটেল আছে, তারাও বাংলাদেশিদের হোটেল দেবে না বলেই জানিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরও যখন উত্তপ্ত হয়েছিল বাংলাদেশ এবং হিন্দুদের উপরে অত্যাচার শুরু হয়েছিল, তখনও শিলিগুড়ি, কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় হোটেলে বাংলাদেশিদের কোনও রুম না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হোটেল মালিক সংগঠন। এবারও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।