
দার্জিলিঙ: ২০১৭ সালের অগস্ট মাস। কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে বিনয় তামাংকে। এক বৃষ্টিভেজা দুপুরে এক অখ্যাত পাহাড়ি গ্রামে দেখা মিলেছিল এই গোর্খা নেতার। বিমল গুরুংয়ের সেই সময়ের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সৈনিক বলেছিলেন, “রাজনীতিতে চিরশত্রু বলে কিছুই নেই।” ২০২১ সালের আরেকটা অগস্ট মাস। এবার যেন সেদিনের কথাই সত্যি করতে বসলেন বিনয়। যে সাক্ষাৎ ঘিরে পাহাড়ে ভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
বুধবার জিটিএ-এর গেস্ট হাউসে মুখোমুখি হলেন আপাত বিরোধী দুই নেতা, বিনয় তামাং ও বিমল গুরুং! যে সাক্ষাৎ ঘিরে ইতিমধ্যেই পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত দেখছেন রাজনৈতিক মহল। বা বলা ভাল পুরনো দুই সহযোদ্ধা আবার কাছাকাছি আসার দিন গুনছেন অনেকে। অনেকে আবার মনে করছেন বিমলের বশ্যতা স্বীকার করে পাহাড়ে রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইছেন বিনয় তামাং। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ফের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাতেই দেখা যাবে একদা দুই সহযোদ্ধাকে?
একাধিক মামলা তাঁর নামে। ২০১৩ সালে শেষবার গ্রেফতার হন। তারপর বিনয় তামাংকে ঘিরে নানা উত্থান পতন দেখেছে পাহাড়। ২০১৯ সালে ভোটে লড়ার জন্যে জিটিএ চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। দায়িত্ব নেন অনীত থাপা। প্রশাসন সামলান অনীত সামলাতেন, আর দল সামলাতেন বিনয় তামাং। তবে পাহাড়ে নাকি অনীত ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। তাই নিয়ে দূরত্ব বাড়ছিল দু’জনের।
অনেকে আবার বলছেন, বিনয় তামাং যোগ দেবেন তৃণমূলে। কেউ আবার বলছেন তিনি চলে যাবেন বিমল গুরুংয়ের কাছে। এসব জল্পনার মাঝেই বুধবার মুখোমুখি বৈঠকে বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং। ফের এক হচ্ছেন দুই নেতা? জল্পনা তুঙ্গে। আরও পড়ুন: মোদী বিরোধী খিচুড়ি সরকার অনেকটা স্বপ্নের পোলাওয়ের মতো: জয়প্রকাশ