মোদী বিরোধী খিচুড়ি সরকার অনেকটা স্বপ্নের পোলাওয়ের মতো: জয়প্রকাশ

Jaypraksash Majumder: বিজেপি নেতার এ হেন মন্তব্যের পাল্টা তৃণমূল জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, "জয়প্রকাশ মজুমদার বিজেপির একটি ভাঁড়। ওঁর  কথার কোনও গুরুত্ব নেই। আমরা ওঁকে নেতা বলে মনেই করি না।"

মোদী বিরোধী খিচুড়ি সরকার অনেকটা স্বপ্নের পোলাওয়ের মতো: জয়প্রকাশ
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2021 | 6:02 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠছে অ-বিজেপি শক্তিগুলির জোট পরিকল্পনা। সম্ভাব্য় জোটের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুখ হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এমন সম্ভাবনাও  উড়িয়ে দিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সেই জোট পরিকল্পনাকেই কটাক্ষ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের (Jayprakash Majumder)।

বুধবার বনগাঁর সাংগঠিনক বৈঠকে এসে রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের একটি অংশ দিল্লি পাঠানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। তারা মনে করছে বাংলার মতো দিল্লির মসনদেও মমতাকে বসানো যেতে পারে। ওদিকে, কেন্দ্রে রোজই খালি বৈঠক হচ্ছে। যে যা পারছে, যার সঙ্গে পারছে কেবল বৈঠক করছে! আসলে বিরোধী শক্তিগুলির কোনও পরিকল্পনা নেই। কী করবে, আদৌ কিছু করে উঠতে পারবে কি না তার কোনও ঠিকঠিকানা নেই।  সাধারণ মানুষ স্থিরতা চায়। বিরোধী শক্তিগুলির একজোট হওয়ার অর্থ একটা খিচুড়ি তৈরি করা। মোদী বিরোধী খিচুড়ি সরকারের অনেকটা স্বপ্নের পোলাওয়ের মতো। খালি ঘি ঢেলে যাও যত ইচ্ছে! বাস্তবে কোনওদিনই হবে না।”

বিজেপি নেতার এ হেন মন্তব্যের পাল্টা তৃণমূল জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, “জয়প্রকাশ মজুমদার বিজেপির একটি ভাঁড়। ওঁর  কথার কোনও গুরুত্ব নেই। আমরা ওঁকে নেতা বলে মনেই করি না। তাই জয়প্রকাশ কী বললেন না বললেন তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।”  প্রসঙ্গত, জাতীয় রাজনীতির আঙিনায় বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো (Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যেই পাঁচ দিনের এই দিল্লি সফরে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে যেমন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত হয়েছে, তেমনই একাধিক বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। মমতার সঙ্গে শীর্ষস্থানীয় বিরোধী নেতৃত্বদের দেখা সাক্ষাত্‍ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে যথেষ্ট তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অ-বিজেপি শক্তিগুলির জোট পরিকল্পনায় মমতাই মুখ হবেন কি না তা নিয়েও জোর গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।

ইতিমধ্যেই মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বৈঠক সেরেছেন কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। বাদ যাননি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও। সম্প্রতি, ত্রিপুরায় দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ‘আক্রমণের’ মুখে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব রাজ্যরাজনীতি। অন্য়দিকে, কেরলেও ধীরে ধীরে ‘আসর জমানোর’ লক্ষ্যে তৃণমূল। ফলে, ২০২৪-এর পূর্ব প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে রাজি নন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্য বিজেপি নেতার এ হেন মন্তব্য বিশেষ ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আরও পড়ুন: Exclusive Manoj Jha: মমতা বড় নাম, তবে মুখের রাজনীতি চান না আরজেডি-র ‘ভাইরাল সাংসদ’ মনোজ ঝাঁ