Sandeshkhali: এতদিনে জালে ‘মূল মাথা’, কান্নায় ভেঙে পড়লেন শাহজাহানের মূল সাক্ষী
Najat Case Arrest: এদিকে আলিম মোল্লা গ্রেফতার হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন শেখ শাহজাহান মামলার সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষ ।ছেলের মৃত্যুর সুবিচার চাইলেন তিনি। ভোলা বললেন, "ভয়ে আছি, আতঙ্কে আছি।" মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুলিশি সহায়তার আর্জি জানান ভোলানাথ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ন্যাজাটকাণ্ড অর্থাৎ শেখ শাহজাহানের মূল সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষের গাড়ি দুর্ঘটনা, তাতে তাঁর ছেলে ও চালকের মৃত্যু। এই ঘটনায় মোট চার জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু অধরা ছিলেন মূল অভিযুক্ত আলিম মোল্লা। এতদিনে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, আলিম মোল্লাই ট্রাক চালাচ্ছিলেন। আলিম মোল্লা ভোলা ঘোষকে বাসন্তী হাইওয়ে রোডের উপর ১৬ চাকা ট্রাক দিয়ে পিষে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ । ভোলা ঘোষ বেঁচে গেলেও ভোলা ঘোষের ছোট ছেলে এবং গাড়ির চালক ঘটনাস্থলেই মারা যায় । এই নিয়ে পাঁচজন গ্রেফতার হল। সোমবার তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে ।
এদিকে আলিম মোল্লা গ্রেফতার হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন শেখ শাহজাহান মামলার সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষ ।ছেলের মৃত্যুর সুবিচার চাইলেন তিনি। ভোলা বললেন, “ভয়ে আছি, আতঙ্কে আছি।” মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুলিশি সহায়তার আর্জি জানান ভোলানাথ।
ভোলানাথ বলেন, “ছেলের মৃত্যুর সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসুক। বউমাটা ছোট বাচ্চা নিয়ে বসে আছে। ছোট্ট বাচ্চাটা বলছে বাবা কখন আসবে। আমাকে মেরে ধরে খুন করে দিলে আমি কষ্ট পেতাম না, ছেলের মৃত্যু মানতে পারছি না। প্রশাসনের প্রতি আস্থা আছে, আমার ছেলের সুবিচার পাব। ভয়ে আছি, আতঙ্কে আছি।”
ন্যাজাটকাণ্ডে আগেই ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন ভোলানাথ। সেখানে সস্ত্রীক শেখ শাহজাহান সহ নাম ছিল আব্দুল আলি মোল্লা ও নজরুল মোল্লার। আব্দুল আলি মোল্লা ঘাতক গাড়ির চালক। সেই পালিয়েছিল নজরুল মোল্লার বাইকে চড়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার ও কুদ্দুস তরফদারকে গ্রেফতার করে। তারপর গ্রেফতার করা হয় ঘাতক লরির খালাসি গোলাম হোসেন মোল্লাকে। এরপরই খোঁজ মেলে মূল মাথার।
