আবার Air India-তে বিপদ, বিমান আকাশে পৌঁছতেই ওয়েল প্রেশার ‘শূন্য’! বিপন্ন শতাধিক প্রাণ
Air India Flight: সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লি থেকে মুম্বইগামী ফ্লাইট এআই৮৮৭ (Flight AI887)-এ সমস্যা দেখা দেয়। রাত ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ বিমানটি ছাড়ে। এরপরই পাইলট লক্ষ্য করেন যে ডান দিকের ইঞ্জিন, যা দ্বিতীয় ইঞ্জিন হিসাবে কাজ করে, তার ওয়েল প্রেসার অস্বাভাবিক কম। দেখতে দেখতেই চোখের নিমেষে ওয়েল প্রেসার শূন্য হয়ে যায়।

নয়া দিল্লি: বড় বিপদের হাত থেকে বাঁচল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। রানওয়ে থেকে টেকঅফ করার পরই ঘটল ভয়ঙ্কর বিপদ। বিমানের ডান দিকের ইঞ্জিনে ধরা পড়ল মস্ত গোলযোগ। ইঞ্জিন ওয়েল প্রেসার হঠাৎ শূন্য হয়ে গেল। কোনও মতে পাইলট বিমান মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে জরুরি অবতরণ করান। রক্ষা পেল শতাধিক প্রাণ।
সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লি থেকে মুম্বইগামী ফ্লাইট এআই৮৮৭ (Flight AI887)-এ সমস্যা দেখা দেয়। রাত ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ বিমানটি ছাড়ে। এরপরই পাইলট লক্ষ্য করেন যে ডান দিকের ইঞ্জিন, যা দ্বিতীয় ইঞ্জিন হিসাবে কাজ করে, তার ওয়েল প্রেসার অস্বাভাবিক কম। দেখতে দেখতেই চোখের নিমেষে ওয়েল প্রেসার শূন্য হয়ে যায়।
বড়সড় বিপদের আশঙ্কা করেই ইমার্জেন্সি প্রসিডিওর অনুসরণ করে পাইলট তড়িঘড়ি বিমান ঘুরিয়ে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনেন। সুরক্ষিতভাবেই যাত্রীদের বিমান থেকে বের করে আনা হয়। কারোর কোনও আঘাত লাগেনি।
উল্লেখ্য, বিমানের ইঞ্জিন ওয়েল প্রেসার শূন্য হয়ে যাওয়াকে গুরুতর ঝুঁকি বলেই গণ্য করা হয়। বিমান চলাচলে এবং যন্ত্রাংশ ঠান্ডা রাখতে তেল জরুরি। যদি হঠাৎ ওয়েল প্রেসার কমে যায়, তাহলে দ্রুত বিমানের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যন্ত্রাংশে ওভারহিটিং হয়, এমনকী ইঞ্জিন ফেলিওর বা সরাসরি আগুন ধরে যেতে পারে বিমানে।
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, বিমানের সেফটি প্রোটোকল অনুসরণ করেই বিমানটিকে দ্রুত ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যাত্রী ও ক্রু- সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন। যাত্রীদের জন্য বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে বিমানটিতে প্রয়োজনীয় সেফটি চেক করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ ক্লিয়ারেন্স বা ছাড়পত্র পেলে তবেই বিমানটি ছাড়বে।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর বিশাখাপত্তনমগামী এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমানেও যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা গিয়েছিল বিমান ছাড়ার আগের মুহূর্তে। চলতি বছরেই ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ওঠার কয়েক সেকেন্ড পরই ভেঙে পড়ে। বিমানের একজন যাত্রী বাদে ২৩০ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু মেম্বারের মৃত্যু হয়। মেঘানীনগরে একটি কলেজের হস্টেলের উপরে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি, সেখানেও কয়েকজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়।
