পাহাড়-নীতিতে নয়া রঙ! ‘কাছাকাছি’ বিনয়-বিমল, নেপথ্যে কি শাসক শিবির?

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Aug 12, 2021 | 9:39 PM

Binay Tamang And Bimal Gurung: ২০০৭ সালে বিনয় তামাং, বিমল গুরুঙ্গ ও অনীত থাপার মিলিত প্রয়াসের নাম গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ২০১৭তে, শৈলরানির রাজনীতিতে পটপরিবর্তন।

পাহাড়-নীতিতে নয়া রঙ! কাছাকাছি বিনয়-বিমল, নেপথ্যে কি শাসক শিবির?
বাঁদিক থেকে বিনয় তামাং, বিমল গুরুঙ্গ ও অনীত থাপা, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

দার্জিলিং:  পাহাড় রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ। ২০০৭ থেকে ২০২১, চোদ্দো বছরে পাহাড় রাজনীতিতে ঘটল অনেক পটপরিবর্তন। বুধবার বিমল গুরুঙ্গের (Bimal Gurung) সঙ্গে বৈঠকের পরেই ডুয়ার্সে কর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ করতে আসরে নেমে পড়লেন বিনয় তামাং। বৃহস্পতিবার মেটলি তে একটি বেসরকারি হোটেলে তার অনুগামীদের নিয়ে বৈঠক করেন বিনয় তামাং। সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে চলে এই বৈঠক।

২০০৭ সালে বিনয় তামাং, বিমল গুরুঙ্গ ও অনীত থাপার মিলিত প্রয়াসের নাম গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ২০১৭তে, শৈলরানির রাজনীতিতে পটপরিবর্তন। পৃথক গোর্খাল্য়ান্ডের দাবিতে অশান্তি হয়ে ওঠে পাহাড়। তখন বিমল গুরুঙ্গ (Bimal Gurung), রোশন গিরিদের বিরুদ্ধে খুন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, হিংসা ছড়ানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার। গ্রেফতারি এড়াতে প্রায় সাড়ে তিন বছর আত্মগোপন বিমলের। তারপরেই চিড় ধরে সম্পর্কে। ‘শীতল বিচ্ছেদে’ জড়িয়ে পড়েন বিনয়-বিমল। অনীত থাপার নীরব সমর্থন প্রাপক বিনয় তামাং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জানিয়ে দেন তৃণমূলের পক্ষে লড়াই করলেও আলাদা করে প্রার্থী দেবে তাঁর দল। ওদিকে, সাড়ে তিন বছরের অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে পাহাড়ে ফেরেন গুরুঙ্গ। তৃণমূলের পক্ষেই লড়বেন গুরুঙ্গপন্থীরা এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দেন পাহাড়ের ‘বেতাজ-বাদশা’। বিনয়-বিমলের এই শীতল লড়াইয়ের কথা স্মরণ করেই পাহাড়ে প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। উল্টে, ‘পাহাড়বন্ধুদের ভরসা করে’ তিনটি আসন ছেড়ে দেন মমতা।

কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে হালে পানি ফেরেনি। মোর্চার দুই তরফেই ইঙ্গিত,  ভোট ভাগাভাগিতে দার্জিলিং ও কার্শিয়াং-এ আসন খোয়ায় মোর্চা। যথারীতি তা না-পসন্দ শাসকদলের। মোর্চা শিবিরের সূত্রেই খবর, নির্বাচন আবহে যা কেবল ‘পরামর্শ’ ছিল, ভোটের পর তাই ‘চাপে’ রূপান্তরিত। রাজ্যের শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে কার্যত চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলেই দাবি করেছেন মোর্চা শিবিরের কেউ কেউ। নির্বাচনের অনতিপরেই তাই দলত্যাগ করেন বিনয় তামাং। সমস্ত দায়িত্ব তুলে দেন বিমলের হাতে।  দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ত্য়াগ ছাড়াও যে বিমল গুরুঙকে একদা দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন, তাঁর হাতেই দায়িত্ব তুলে দেন বিমল।

বুধবার, বিনয়-বিমলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যে ‘সম্প্রীতির’ ছবি প্রকাশ্যে আসে তাতে স্পষ্ট অন্তর্বিভেদ না মিটলেও দলের ভাঙন রোখার ‘আশঙ্কা’ থেকেই এই পদক্ষেপ দুই নেতার। বিনয়কে সঙ্গে নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী সহ শীর্ষ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন বিমল ইঙ্গিত এমনটাই।  অন্যদিকে দিদির সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেনি বলে দাবি অনীত শিবিরের। সেপ্টেম্বরেই নতুন দল ঘোষণার তোড়জোড় করছেন অনীত থাপা। বিনয় শিবিরের অনেকেই যোগ দিয়েছেন তাঁর সঙ্গে। যদিও, দুই পুরনো নেতার বৈঠক নিয়ে অনীত প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। আবহাওয়ার মতোই কি ‘পাহাড় কি রানির’ রাজনীতিও খামখেয়ালি? সংশয়ে রাজনৈতিক মহল। আরও পড়ুন: পদ্মস্তুতিতে ‘আপদহীন’ শান্তিকুঞ্জ, জ়েড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন ‘শিশিরপুত্র’

Next Article