পদ্মস্তুতিতে ‘আপদহীন’ শান্তিকুঞ্জ, জ়েড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন ‘শিশিরপুত্র’
Shantikunja: জ়েড নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ৪ থেকে ৫ জন এনএসজি কম্যান্ডো-সহ ২২ জন নিরাপত্তারক্ষী দিনভর মোতায়েন করা থাকে বাড়ির চার পাশে। বাড়ির বাইরে যে কোনও সফরে সর্বক্ষণের জন্য থাকেন নিরাপত্তারক্ষী এবং সশস্ত্র প্রহরী।
পূর্ব মেদিনীপুর: ‘মেহফুজ’ হোক শান্তিকুঞ্জ। খোদ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বলয়ে আগাগোড়া মুড়তে শুরু করেছে কাঁথির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ‘অধিকারী বাসভবন’। জ়েড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা (Z Category Security) পাচ্ছেন অধিকারী গড়ের ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী। কাঁথি পুরসভার দু’বারের পুরপ্রধান ও প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার থেকেই জ়েড ক্যাটাগরির (Z Category Security) কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সহকারে কাঁথির বাসভবনে ফিরবেন সৌমেন্দু।
জ়েড ক্যটাগরির নিরাপত্তাপ্রাপ্ত সৌমেন্দু পেতে চলেছেন একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি। সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে ২৪ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান। ঘাসফুল শিবির বদলের পর গেরুয়া শিবিরে গিয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রাপ্তি ঘটেছিল নন্দীগ্রামের বিধায়ক ও বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সৌমেন্দুর আগে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছেন শুভেন্দুর অগ্রজ তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। নিরাপত্তা পেয়েছেন খোদ শিশির অধিকারীও।
কী এই জ়েড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা? জ়েড নিরাপত্তা ব্যবস্থায় (Z Category Security) ৪ থেকে ৫ জন এনএসজি কম্যান্ডো-সহ ২২ জন নিরাপত্তারক্ষী দিনভর মোতায়েন করা থাকে বাড়ির চার পাশে। বাড়ির বাইরে যে কোনও সফরে সর্বক্ষণের জন্য থাকেন নিরাপত্তারক্ষী এবং সশস্ত্র প্রহরী। জ়েড প্লাস নিরাপত্তায় জেড-এর সব সুযোগ সুবিধে তো পাওয়াই যায়। সেইসঙ্গে যোগ হয় বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং বাড়তি কিছু নিরাপত্তা। ১০ জনের বেশি এনএসজি কম্যান্ডো-সহ ৫৫ জন নিযুক্ত থাকেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিরাপত্তার দায়িত্বে। কনিষ্ঠ অধিকারী পাচ্ছেন জ়েড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। তাহলে, বুলেট প্রুফ গাড়ি কী করে বরাদ্দ তাঁর জন্য তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে এ বিষয়ে নীরব শান্তিকুঞ্জ। যদিও, সৌমেন্দু বলেছেন, “খবরটি শুনেছি। মায়ের অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা জন্য আমি বাইরে রয়েছি। তবে এবিষয়ে নিশ্চিতভাবে আমার কিছু জানা নেই।’’
বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শুভেন্দুর ফুলবদলের জেরে ধীরে ধীরে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে তৃণমূল। একে একে বদল করা হয়েছে প্রশাসনেও। কাঁথি প্রশাসন থেকে হলদিয়ার একাধিক পদ থেকে ধীরলয়ে অপসারণ করা হয়েছে অধিকারীদের। কার্যত, ‘নিজ-গড়েই’ ক্ষমতা হ্রাস পায় অধিকারীদের। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নিজের দাদার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সৌমেন্দু। তারপরেই, কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে অপসারিত হন কনিষ্ঠ অধিকারী। অন্যদিকে, কাঁথি পৌরসভার ত্রিপল চুরির মামলা এখনও চলছে। এই পরিস্থিতিতে অধিকারী গড়ে কড়া কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কাঁথিতে অধিকারীদের বাসভবনে চার অধিকারীই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাধীন। শিশির এবং দিব্যেন্দু পান ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। সৌমেন্দু-সহ শুভেন্দু পেলেন জ়েড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। অধিকারী বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন মোট ৭২ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান।