Raju Bista: ‘হ্যালো-হ্যালো শুনতে পারছেন?…’, জলহীন নলের সামনে গিয়ে কাকে ডাকলেন বিজেপি সাংসদ?

Raju Bista Mocks Mamata Banerjee: একটি নলের সামনে গিয়ে বিজেপি রাজু বিস্তা ব্যঙ্গ করে বলছেন, 'হ্যালো মমতা দিদি, এটা হর ঘর জলের নল। পাইপ রয়েছে, কিন্তু জল নেই। আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন।' গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, প্রতিটি ঘরে নলের মাধ্য়মে পরিষ্কার জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র জল জীবন মিশন শুরু করেছিল।

Raju Bista: হ্যালো-হ্যালো শুনতে পারছেন?..., জলহীন নলের সামনে গিয়ে কাকে ডাকলেন বিজেপি সাংসদ?
বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাImage Credit source: facebook

|

Oct 13, 2025 | 12:19 AM

দার্জিলিং: নল রয়েছে, কিন্তু জল নেই। তাই সেই নলকূপের সামনে গিয়ে ‘ডাক দিলেন’ দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। কাকে ডাকলেন তিনি? রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। বিজেপি সাংসদের সেই ভিডিয়ো পোস্ট করল বঙ্গ বিজেপি। কেন্দ্রের জল জীবন মিশন ঠিক মতো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার, অভিযোগ তুলে সেই ইস্যুকেই হাতিয়ার করল তারা।

সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি নলের সামনে গিয়ে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ব্যঙ্গ করে বলছেন, ‘হ্যালো মমতা দিদি, এটা হর ঘর জলের নল। পাইপ রয়েছে, কিন্তু জল নেই। আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন।’ গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, প্রতিটি ঘরে নলের মাধ্য়মে পরিষ্কার জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র জল জীবন মিশন শুরু করেছিল। কিন্তু বাংলার সরকার নল দিয়েছে, জল দেয়নি। কেন্দ্র দিল্লি থেকে অর্থ পাঠায়, কিন্তু সেই টাকা তৃণমূলের নেতাদের পকেটে ঢুকে যায়।

অবশ্য, এই অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্যের শাসক শিবির। এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘কেউ পুরো পাগল, কেউ অর্ধেক পাগল। একজনকে দেখলাম জলের নলের কাছে গিয়ে মুখ লাগিয়ে হ্যালো চিফ মিনিস্টার, হ্যালো চিফ মিনিস্টার করছেন। এসব করে মানুষের সমস্যার সমাধান হয় না।’

উল্লেখ্য, রবিবার এক সপ্তাহের মাথায় ফের উত্তরবঙ্গ গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই উত্তরের পথে যাওয়ার আগে বড় ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। বিপর্যয়ের মুখে পড়া দুর্গতদের যারা উদ্ধার করেছেন, তাঁদের জন্য পুরস্কার থেকে বাড়ি তৈরির টাকা। এক গুচ্ছ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘আলিপুরদুয়ারে হাসিমারায় রিভিউ মিটিং রয়েছে। তারপর সেখান থেকে মঙ্গলবার নাগরাকাটায় যাব। উত্তরের এই বিপর্যয়ে যারা উদ্ধারকারী হিসাবে কাজ করেছেন তাঁদের পুরস্কার দেওয়া হবে। যাদের নথি হারিয়ে গিয়েছে, সেগুলো নতুন করে করিয়ে দেওয়ার ব্য়বস্থা করে দেওয়া হবে। এই সব কাজের জন্য় মোট ৩১ হাজার ৭০০টি ক্যাম্প করার লক্ষ্য রয়েছে। যার মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ২৮ হাজার ৩০০ ক্যাম্প। যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের বাড়ি তৈরির জন্য় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’