Darjeeling: জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়তেই উঠে এল মৃতদেহ, পরে জানা গেল আসল রহস্য
Darjeeling: এদিকে এই খবর পাওয়া মাত্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়িতে রয়েছে হরিদাসের মা, স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলের মৃত্যু সংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের মা। কোনও কথাই বলতে পারলেন না তিনি।

দার্জিলিং: দার্জিলিংয়ে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়ে মৃত্যু যুবকের। ধসে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হল ধূপগুড়ির ওই যুবকের। শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। মৃতের নাম হরিদাস রায় (৩৪)। ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দামবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, হরিদাস বাড়তি উপার্জনের আশায় দার্জিলিংয়ে ঠিকাদারি কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার কাজ করতে গিয়ে ধস নামে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো দার্জিলিংয়ে কাজ চলছিল। এ দিন পিলার বসানোর জন্য গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। দুপুরবেলা শ্রমিকরা যখন খাবার খেতে যান, সে সময় হরিদাস রায় গর্তে নামেন। রড বাইন্ডিং ঠিকমতো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখেন। তখনই ধসে মাটি চাপা পড়ে যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে খবর, হরিদাস যে গর্তে আটকে পড়েছেন তা শ্রমিকরা জানতে পারেনি। খাওয়া-দাওয়া করে বাকি শ্রমিকরা এসে যথারীতি তাঁরা কাজ শুরু করেন। জেসিবি দিয়ে সেই গর্ত থেকে পাথর তোলা হচ্ছিল। সে সময় গর্ত থেকে পাথর সহ হরিদাস রায়ের দেহ বেরিয়ে আসে। ঘটনায় হতবাক হয়ে যান সেখানে থাকা শ্রমিকরা।
এদিকে এই খবর পাওয়া মাত্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়িতে রয়েছে হরিদাসের মা, স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলের মৃত্যু সংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের মা। কোনও কথাই বলতে পারলেন না তিনি। অপরদিকে, বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফণীন্দ্রনাথ রায় প্রধান বলেন, “খুব দুঃখজনক ঘটনা। একমাস আগে দার্জিলিঙে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিল। আজই ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। খুবই চিন্তিত আমরা। এ ঘটনা গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ।”