শিলিগুড়ি: গত লোকসভার ফলাফল বলছে, শহরাঞ্চলে ভোটারদের সিংহভাগ অংশ শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তা নিয়ে বারেবারে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন শাসকদলের নেতারা। চলছে ময়নাতদন্ত। এই পরিস্থিতিতে ‘শুদ্ধ’, ‘স্বচ্ছ’ তৃণমূলের কথা বলছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু, শহরাঞ্চলে কোথাও জমির কারবার, কোথাও আবার শাসক কাউন্সিলরদের সম্পত্তি ফুলেফেঁপে ওঠা নিয়ে এবার রাস্তায় নেমে পড়েছে বিজেপি। ফলে চাপে ঘাসফুল শিবির। তবে অভিযোগ সামাল দিতে পুর কাউন্সিলরদের সম্পত্তি কত তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা নিয়ে দ্বিধায় তৃণমূল নেতৃত্ব।
একদিন আগেই শিলিগুড়ি পুরনিগম ঘেরাও করেছিল বিজেপি। বিক্ষোভও হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতোরও হয়। সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তোলেন ডেপুটি মেয়রের দেড় হাজার কোটির সম্পত্তি নিয়ে। জেলা সভাপতি অরুন মণ্ডলের অভিযোগ, কাটমানির টাকায় ফুলেফেঁপে ঢোল হয়েছেন মেয়র পারিষদেরা। এদিন আবার বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি দিয়ে দাবি করেছেন গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিক বিজেপি। তবে মেয়র গৌতম দেবের দাবি, চিলে কান নিয়ে গেছে বললেই যে চিলের পিছনে দৌড়াতে হবে এমনটা নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা বিজেপি কী বলছে তার উত্তর তৃণমূল দেবে না।
কিন্তু কেন দ্বিধা? ভোটের সময় যে প্রার্থীরা হলফনামায় নিজেদের সম্পত্তির উল্লেখ করেই ভোটে জিতেছিলেন, স্বচ্ছতার প্রশ্নে বিরোধীদের চুপ করাতে নিজেদের সম্পত্তির তালিকা প্রকাশে সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। উত্তর এখনও মেলেনি।