AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিজেপির ফাঁদে পা নয়, স্বাধীন রাজ্য চায় কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি

Kamtapur Progressive Party: অতুল রায়ের মৃত্যুর পর কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি হলেন প্রয়াত নেতার স্ত্রী মেনকা রায়।

বিজেপির ফাঁদে পা নয়, স্বাধীন রাজ্য চায় কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি
নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2021 | 6:49 PM
Share

শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার করার দাবি যখন করেন অধুনা প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা, তখন আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি চেয়ে সরব হয় কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি (Kamtapur Progressive Party)। কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থ প্রতিম রায় ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃ্ষ্ণ মণ্ডল ইতিমধ্যেই সম্প্রতি হুমকি চিঠিও পেয়েছেন কামতারপুর লিবারেশন অরগানাইজেশন বা কেএলও-র তরফে। উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত বলে যেখানে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি সেখানে এই চিঠি রীতিমতো দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল রাজনৈতিক মহলের। এ বার, কামতাপুর রাজ্যের দাবি ফের উস্কে দিলেন কামতাপুর প্রোগেসিভ পার্টির সহ-সভাপতি বুধারু রায়।

অতুল রায়ের মৃত্যুর পর কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির (Kamtapur Progressive Party) সভাপতি হলেন প্রয়াত নেতার স্ত্রী মেনকা রায়। গত বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শনিবার, সাংবাদিক বৈঠকে সহ-সভাপতি বলেন, “আমরা বাংলা ভাগ চাই না। কেন্দ্রীয় শাসনও চাই না। কারণ তা স্বাধীনতার পরিপন্থী। আমরা পৃথক কামতাপুর রাজ্য়ের দাবি বরাবর করেছি। আমাদের সংবিধান সেভাবেই তৈরি হয়েছিল। অতুলবাবুও তাই চেয়েছিলেন তবে সেই দাবি কিছুটা স্থগিত রেখেছিলেন। উত্তরবঙ্গের মাটির মানুষ সব সময় শোষিত এবং বঞ্চিত হয়েছে। তবে, তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, আমাদের দাবিদাওয়া খুঁটিয়ে দেখেছেন। তাই আমরা উন্নয়নের পক্ষেই আছি।”

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার মন্তব্যের বিরুদ্ধে অবশ্য সুর তুলেছে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি। সম্প্রতি, জন বার্লার সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন কামতাপুর পিপলস পার্টির নেতা নিখিল রায়। সে প্রসঙ্গে, বুধারু রায় বলেন, “বিজেপির ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়।  কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে তারা যেসকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার একটিও উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য পালন করেনি। তাই বিজেপির উপর আস্থা না রাখাই ভাল।”  আরও পড়ুন: নেই শুভেন্দু! তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির নতুন সভাপতি সেচমন্ত্রী সৌমেন