কালিম্পং : আবহাওয়া দফতরের তরফে প্রবল বৃষ্টির (Heavy Rain) সর্তকতা আগেই জারি করা হয়েছিল। আর উত্তরবঙ্গের (North Bengal) পাহাড়ি অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি মানেই নামে ধস (Landslide)। এবারও সেই বিপদ এড়ান গেল না। কালিম্পং (Kalimpong) পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে ধস নেমে বিপর্যস্ত হল ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়ল গার্ডওয়াল। এ ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। রাস্তায় গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
কালিম্পং পুরসভা এলাকায় ৪, ১৫, ১৮ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ধস নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকা। ব্লক, পুরসভা ও জেলাস্তরের বিপর্যয় মোকাবিলা টিম কাজ করছে ওইসব এলাকায়। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১০৮ জন। ভেঙে পড়েছে ৬টি বাড়ি। এ ছাড়া প্রবল বৃষ্টিতে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আলগারা ও লাভার মধ্যবর্তী অংশে গাছ পড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি গাড়ি। গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন গাড়ির দুই যাত্রী। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চলে পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই বেশি। তাই এই অঞ্চলে ধস নামলে বিপদ বাড়ে পর্যটকদের। পর্যটকরা যাতে রাস্তায় আটকে গিয়ে অসুবিধার মুখে না পড়েন, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে জাতীয় সড়ক খোলা রাখার কথা ছিল, কিন্তু প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নামায় রাস্তা বন্ধ করে দিতে হয়। এ দিকে তিস্তার জল যেভাবে ফুলে-ফেঁপে উঠতে শুরু করেছে তাতেও বিপদের আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন, তাই জায়গায় জায়গায় মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।
মঙ্গলবারই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বেশ কিছু জায়গায়। কমলা সতর্কতার অর্থ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। অন্যদিকে হলুদ সতর্কতা রয়েছে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। হলুদ সতর্কতা মানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
হাওয়া অফিস মনে করছে, বুধবারের পর থেকে নিম্নচাপের প্রভাব কমতে শুরু করবে। ফলে টানা বৃষ্টি থেকে মুক্তি মিলতে পারে। তবে কোনও ভাবেই পুরোপুরি দুর্যোগ কেটে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা যাবে, এমন পূর্বাভাস এখনও হাওয়া অফিসের তরফে দেওয়া হয়নি। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি চলবেই।
তবে, সপ্তাহান্তেই দুর্যোগ মিটবে। তারপরেই রাতের দিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। হালকা ঠাণ্ডা বাতাস বইবার সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবর, শুক্রবার থেকেই ধীরে ধীরে অনুভূত হবে শীত এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন : Uttarakhand: মেঘ ভেঙে বৃষ্টি নৈনিতালে, ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে মানুষ