Uttarakhand: মেঘ ভেঙে বৃষ্টি নৈনিতালে, ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে মানুষ
Uttarakhand Disaster, রবিবার, যে সকল চারধাম তীর্থযাত্রীরা হরিদ্বার (Haridwar) ও ঋষিকেশে (Rishikesh) উপস্থিত হয়েছেন, তাদের আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া অবধি মন্দিরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: কয়েকদিন আগেই উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ভয়াবহ বৃষ্টির পূর্বাভাস করেছিল আবহাওয়া দফতর। আজ, মঙ্গলবার উত্তরের এই রাজ্যে দুর্যোগের মাত্রা বৃদ্ধি পেল। নৈনিতাল (Nainital) জেলার রামগড় গ্রামে মেঘ ভেঙে হওয়া বৃষ্টির প্রকোপে দুর্যোগের ভয়াবহতা বিশালভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধ্বংসাবশেষের নীচে অনেকেই আটকে আছেন বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI) সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। নৈনিতালের সিনিয়র পুলিশ সুপার প্রিয়দর্শিনী প্রীতি জানিয়েছেন, অনেকেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হয়েছে, কিন্তু এখনও অনেকেরই আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রামগড় এলাকায় যে ধ্বস নেমেছিল, তার নীচে ৯ জন শ্রমিক চাপা পড়েছেন। জানা গিয়েছে, রাতে ধ্বস নামার ফলে পাঁচিলের নীচে শ্রমিকেরা চাপা পড়ে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজনকেই বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
#WATCH | Uttarakhand: Nainital Lake overflows and floods the streets in Nainital & enters building and houses here. The region is receiving incessant heavy rainfall. pic.twitter.com/G2TLfNqo21
— ANI (@ANI) October 19, 2021
দীর্ঘ দুদিন ধরেই এই এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ হীনতার ফলে মোবাইল পরিষেবাতেও (mobile signal) সমস্যা দেখা দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। চার ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ চালানোর পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এক জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এবং পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতরা হলেন ধীরজ কুমার , ইমতিয়াজ (২০), বিনোদ কুমার (২১), জুম্মেরাতি (২৫), এবং হরেন্দ্র কুমার (৩৭)। উদ্ধার হওয়া জীবিত ব্যক্তির নাম কাশী রাম (২০)।
নৈনিতাল জেলার হ্রদের জল উপচে পরে সংলগ্ন রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। সোমবার, উত্তরাখণ্ডের এই ভয়াবহ বৃষ্টিপাতে নেপালের (Nepal) তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার, যে সকল চারধাম তীর্থযাত্রীরা হরিদ্বার (Haridwar) ও ঋষিকেশে (Rishikesh) উপস্থিত হয়েছেন, তাদের আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া অবধি মন্দিরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
কেদারনাথেও (Kedarnath) রবিবার থেকে বৃষ্টি হলেও মন্দাকিনী নদীর (Mandakini river) জলস্তর এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। অক্টোবরের ১৭ ও ১৯ তারিখ উত্তরাখণ্ডে বজ্র বিদ্যুৎসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি এবং ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়ার পূর্বাভাস ছিলই।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী (Pushkar Singh Dhami) এবং রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য অজয় ভাটের (Ajay Bhatt) সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। যে কোনও ধরণের প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের পাশে রয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী আকাশপথে পর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। আগামী মাসেই উত্তরাখণ্ড সফরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এই পরিবর্ত পরিস্থিতিতে তাঁর সফরসূচিতে পরিবর্তন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ভিডিয়ো: চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন গর্ভবতী মহিলা, ঝাঁপিয়ে পড়লেন আরপিএফ কর্মী, তারপর কী হল….