HMPV: কোভিড কাট টু HMPV! চিনের নতুন ভাইরাসে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক, ভারতে এখনও পর্যন্ত কত জন আক্রান্ত? জানাল কেন্দ্র
HMPV: HMPV-র উপসর্গ সর্দি-কাশি, নাক দিয়ে লাগাতর জল পড়া, অসম্ভব গলা ব্যথা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেটানিউমো ভাইরাস নতুন নয়, ২০০১ সালেও 'ডিটেক্ট' হয়েছিল। কিন্তু যেটা নতুন, তা হল আক্রমণের হার, সংক্রমণের হার।
নয়া দিল্লি: করোনা আতঙ্ক উস্কে এবার চিনে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের হানা! চিনের একাধিক হাসপাতালে আবার থিক থিকে ভিড়। সামাজিক মাধ্যমে একাধিক পোস্টকে ঘিরে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। শিশু ও বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে HMPV ভাইরাসে। আক্রান্ত হচ্ছে ফুসফুস, বাড়ছে নিউমোনিয়া, হোয়াইট লাং-এর মতো রোগ। এমনটাই দাবি সামাজিক মাধ্যমের একাধিক পোস্টের। যদিও নতুন এই ভাইরাস হানার বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বেজিং। এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। চিনের এই ভাইরাসে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতে। তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও কেস রিপোর্ট হয়নি বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র।
হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল অতুল গোয়াল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট নথিভুক্ত হয়নি। এটি সাধারণ সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগের মতোই। সাধারণ, শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।
HMPV-র উপসর্গ সর্দি-কাশি, নাক দিয়ে লাগাতর জল পড়া, অসম্ভব গলা ব্যথা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেটানিউমো ভাইরাস নতুন নয়, ২০০১ সালেও ‘ডিটেক্ট’ হয়েছিল। কিন্তু যেটা নতুন, তা হল আক্রমণের হার, সংক্রমণের হার। ১৪ বছরের নীচে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে, বয়স্করাও। তবে তা হচ্ছে চিনে। এই ভাইরাসের হদিশও পাওয়া গিয়েছে চিনে। যে চিনেই সূত্রপাত হয়েছিল কোভিডের। এবার গোড়া থেকেই সতর্ক থাকতে চাইছেন চিকিৎসকরা। এই ভাইরাসের উপসর্গ অনেকটাই কোভিডের মতো। তবে ওতটা মারাত্মক না হলেও, চিনে আক্রান্তদের অনেককেই ICU-তে ভর্তি করতে হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। সেটা উদ্বেগের কারণ চিকিৎসকদের। তাই এই বিষয়টিকে একেবারেই হালকার ছলে নিতে রাজি নন এখানকার চিকিৎসকরাও। উড়ান মাধ্যমে বিশ্বের এক প্রান্ত অন্য প্রান্তে যোগাযোগ চলছিল। তবে সতর্ক হওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক অনির্বাণ দোলুই বলেন, “এটা একেবারেই নতুন কোনও স্ট্রেন নয়। সাধারণ সর্দি কাশির উপসর্গের মতোই ইফেকশন। ২০০১ সালে প্রথম নেদারল্যান্ডে পাওয়া গিয়েছিল। তবে এই ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও সতর্কবার্তাও নেই। WHO কোনও আপডেট দেয়নি।”