Abhijit Ganguly: ‘ভগবান’ অভিজিৎ গাঙ্গুলি এ কাজ করেন কী করে! মাঝরাস্তায় গাড়ি আটকে পুলিশ ডাকলেন বাবুল
Abhijit Ganguly: দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ততক্ষণে যানজট তৈরি হয়ে গিয়েছে। ছুটে যান হেস্টিংস থানার তাবড় পুলিশ কর্তারা। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতু সাক্ষী থাকল বাংলার এক মন্ত্রী ও এক সাংসদের বেনজির ঝামেলার। আর সেই ঝামেলা গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেখলেন সাধারণ মানুষ।
কলকাতা: মাঝ রাস্তায় গাড়ি থেকে নেমে এসেছেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আর অন্যদিকে সাংসদ তথা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রেগে আগুন বাবুল। রীতিমতো গাড়ি নিয়ে সাংসদের গাড়ির সামনে এসে থামান। গাড়ি থেকে নেমে এসে বলতে থাকেন, “আপনি হর্ন বাজান, হুইস্কি খেয়ে গাড়ি চালান, চাপা দিয়ে চলে যান… আপনার ব্যাপার। কিচ্ছু বলার নেই। কিন্তু এ শব্দ (লেখার অযোগ্য শব্দ) কে বলে? আপনি ভগবানের ইমেজ নিয়ে চলছেন! আপনি যা করছেন সবই ইলিগ্যাল…” দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ততক্ষণে যানজট তৈরি হয়ে গিয়েছে। ছুটে যান হেস্টিংস থানার তাবড় পুলিশ কর্তারা। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতু সাক্ষী থাকল বাংলার এক মন্ত্রী ও এক সাংসদের বেনজির ঝামেলার। আর সেই ঝামেলা গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেখলেন সাধারণ মানুষ।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা যাচ্ছে, কলকাতা থেকে হাওড়া যাচ্ছিলেন অভিজিৎ। সে সময়ে টোল ট্যাক্সের আগেই বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বাবুল সুপ্রিয় পার্ক সার্কাস থেকে দ্বিতীয় হুগলি দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময়ে হঠাৎ পিছনের গাড়ি থেকে এক ব্যক্তি জোরে হর্ন দিতে থাকেন। তখন চালকের আসনে ছিলেন বাবুল নিজেই। তিনি মুখ বাড়িতে প্রশ্ন করেন, “কেন এত হর্ন দিচ্ছেন?” পিছনের গাড়িতেই ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগ, তিনি হঠাৎই বাবুলের উদ্দেশে বেশ কিছ অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করেন। আর তাতেই মারাত্মক চটে যান বাবুল। গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। সাংসদের গাড়ি থেকে চালক নেমে আসেন চালক। কিন্তু সাংসদ গাড়ি থেকে নেমে আসেননি। তিনি কোনও মন্তব্যও করেননি। দু’পক্ষের মধ্যে বাগ বিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়।
ততক্ষণে সেই এলাকায় ভিড় জমতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় হেস্টিংস থানার পুলিশ। দু’জনকেই থামাতে বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকে। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় দু’পক্ষকে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয় দ্বিতীয় হুগলী সেতুর হাওড়াগামী লেনে।