Online Exam: এ কেমন পরীক্ষা! গুগল খুলে চলছে দেদার টোকাটুকি, পার্কে বসে প্রেমিকার হয়ে টুকছেন প্রেমিক
Online Exam: সঙ্গে বই-খাতা, নোটবুক, গুগল। কোথও পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন বয়ফ্রেন্ড। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজে কলেজে অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন কলেজের আশেপাশে এই ছবি ঘিরে প্রশচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
শিলিগুড়ি: পড়ুয়াদের আন্দোলনের চাপে আগেই মাথানত করেছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ( North Bengal University)। সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবারেও অনলাইনেই (Online Exam) হবে সেমিস্টারের পরীক্ষা। কিন্তু, পরীক্ষা শুরু হতেই দেদার গণটোকাটুকির খবর সামনে আসতে থাকে শিলিগুড়ি থেকে। বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন কলেজের আশেপাশের রাস্তায়, পার্কে,ক্যাফেতে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন বহু ছেলেমেয়ে। এক্কেবারে বই-খাতা খুলে, পকোড়া খেতে খেতে, প্রয়োজনে গুগল সার্চ করে উত্তর দেখে লিখছেন অনেকেই। কোথাও আবার পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন তাঁর বয়ফ্রেন্ড অথবা অভিভাবকেরা।
এই দৃশ্য দেখে হাসির রোল উঠেছে সোশ্যাল পাড়াতেও। নাগরিক মহলেও প্রশ্নচিহ্নের মুখে পঢ়েছে পরীক্ষার পরিকাঠামো। প্রশ্নের মুখে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ব্যবস্থাপনা। এর জেরে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, এবারের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল ছাত্রছাত্রীরা। তা মেনে নেয় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় অনলাইনে প্রশ্ন নিয়ে খাতায় লিখে পরীক্ষা শেষের দু ঘন্টার মধ্যে খাতা জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৪৯টি কলেজে দ্বিতীয় চতুর্থ এবং ষষ্ঠ সেমিস্টারের পরীক্ষা পরীক্ষা দিচ্ছেন ১ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী। এদিকে বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ইতিহাসের পরীক্ষায় একই ছবি দেখতে পাওয়া যায় শিলিগুড়িতে। ক্যামেরা দেখেই বই, খাতা ও নোটবুক ফেলে পালাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। কেউ আবার বলছেন, সবাই টুকলি করছে, তাই আমিও করছি। তবে এ ভাবে পরীক্ষা দিয়ে আদপে কীভাবে মেধার বিচার হবে সেই প্রশ্নই বারবার উঠছে নাগরিক মহলে। কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না সে প্রশ্নও ঘুরছে নানা মহলে।