Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP vs TMC: ‘বাস্তব তুলে ধরছি বলে সমস্যা’, অনুন্নয়ন নিয়ে বিধায়ক সুর চড়াতেই মেয়র বললেন, ‘কে কোথায় যাচ্ছে খোঁজ রাখি না’

BJP vs TMC: শনিবারের পর এদিনও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে রবিবাসরীয় জনসংযোগ করেছেন মেয়র গৌতম দেব। মেয়রের উন্নয়নকে বিঁধে অনুন্নয়নের ছবি দেখালেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন মেয়র। ভোটের আগেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে শিলিগুড়িতে।

BJP vs TMC: ‘বাস্তব তুলে ধরছি বলে সমস্যা’, অনুন্নয়ন নিয়ে বিধায়ক সুর চড়াতেই মেয়র বললেন, ‘কে কোথায় যাচ্ছে খোঁজ রাখি না’
বাম দিকে শঙ্কর ঘোষ, ডানদিকে গৌতম দেব Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2025 | 12:14 PM

শিলিগুড়ি: ভোটের এখনও ঢের দেরি। কিন্তু, এখন থেকেই যেন ভোটের বাদ্যি বেজেছে শিলিগুড়িতে।  একদিকে রোজ নিয়ম করে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ‘মানুষের কাছে চলো’ কর্মসূচি করছেন মেয়র গৌতম দেব। বলছেন উন্নয়নের কথা। অন্যদিকে অদুরেই এলাকায় গিয়ে অনুন্নয়নের ছবি দেখাচ্ছেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শনিবারের পর এদিনও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে রবিবাসরীয় জনসংযোগ করেছেন মেয়র গৌতম দেব। এলাকায় কী কী কাজ হয়েছে, মানুষ কী চান তা নিয়ে বিস্তর হইহই করে চলছে প্রচার। ঠিক তখনই পাশের ওয়ার্ডে এক বস্তিতে হাজির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। রান্না বস্তিতে এক স্কুলের গেটেই রয়েছে ময়লা ফেলার ভ্যাট ও টয়লেট। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক। প্রশ্ন শুনে মেজাজও হারালেন মেয়র।

গৌতম বলছেন ক্ষমতায় এসে শহরের উন্নয়ন করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে শঙ্করের দাবি, সাইকেল চড়া নেতারা ফুলেফেঁপে উঠেছে। বড় রাস্তায় নয় পাড়ায়, বস্তিতে আসুন। এদিন সকালে এভাবেই দুই শিবিরের তরজায় উত্তাপ বেড়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে। এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর গত লোকসভা নির্বাচনে শিলিগুড়িতে বুথভিত্তিক ফলাফলে তৃণমূলকে পিছনে ফেলেছিল বিজেপি। তাই পুরনো জমি ফিরে পেতে মরিয়া শাসক শিবির। কিন্তু, এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে বিজেপি। পাল্টা রণকৌশল সাজিয়ে ফেলেছেন শঙ্কর ঘোষেরা। 

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শঙ্কর বলছেন, “আমি এমন এমন বিষয় সামনে আনছি তাতে মেয়রের সমস্যা হচ্ছে। এই যে গান্ধী মেমোরিয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে তার পাশে রয়েছে ভ্যাট, পাশে রয়েছে টয়লেট। একেবারে নরকের পরিস্থিতি। ড্রেন তো নরকের থেকেও খারাপ অবস্থা। ওনারা দেখান হিলকার্ট রোড, বাঘাযতীন পার্ক, বর্ধমান রোড। কিন্তু, এই কয়েকটা রাস্তা নিয়ে শুধু শিলিগুড়ি নয়। গোটা শহরের মানুষের জল, রাস্তাঘাট সব তো দেখতে হবে। কিন্তু কিছু হয়নি। মেয়র সাহেবের বড় গাড়ি। সামনে পিছনে সিকিউরিটি। এসব নিয়ে তিনি ঘুরতে পারেন। কিন্তু মহিলাদের স্নান করার জায়গা নেই। কুয়ো গুলো পরিষ্কার হয় না। সামান্য কাজটুকু করতে পারে না।” থেমে থাকেননি গৌতমও। পাল্টাল খোঁচা দিয়ে বলেন, “কে কোথায় যাচ্ছে আমি খোঁজ রাখি না।” এরপরই নিজের কর্মসূচি নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “আসলে মানুষের সমস্যার কথা শুনতে গেলে মাইক্রো লেভেলে গিয়ে খোজ নিতে হবে।”