Ration Scam: লক্ষ লক্ষ জাল কার্ডে গায়েব রেশন, ২ কোটি টাকা ফাইন! কাঠগড়ায় ব্লক তৃণমূল সভাপতির বাবা

Ration Scam: খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, সীমান্ত সংলগ্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চা বাগান এলাকাতেই খাদ্যদ্রব্য বিলি করা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। গায়েব হয়ে গিয়েছে রেশন সামগ্রী। যদিও বাস্তবে লক্ষ লক্ষ রেশন কার্ডের কোনও অস্তিত্ব নেই।

Ration Scam: লক্ষ লক্ষ জাল কার্ডে গায়েব রেশন, ২ কোটি টাকা ফাইন! কাঠগড়ায় ব্লক তৃণমূল সভাপতির বাবা
রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে চাপানউতোর Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2024 | 2:44 PM

শিলিগুড়ি: ব্লক তৃণমূল সভাপতির বাবার বিরুদ্ধে রেশনে বড়সড় জালিয়াতির অভিযোগ। ডিলারকে একেবারে ২ কোটি টাকা ফাইন করল খাদ্য দফতর। কাঠগড়ায়, ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ব্লক তৃণমূল সভাপতি আখতার আলির বাবা আবদুল হাকিম। ওই ডিলারকেই জাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে রেশন বিলি দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী সরিয়ে ফেলার অভিযোগে দুই কোটি তিন লক্ষ টাকা ফাইন করল খাদ্য দফতর। ঘটনায় তুমুল হইচই শুরু হয়েছে জেলায়। 

খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, সীমান্ত সংলগ্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চা বাগান এলাকাতেই খাদ্যদ্রব্য বিলি করা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। গায়েব হয়ে গিয়েছে রেশন সামগ্রী। যদিও বাস্তবে লক্ষ লক্ষ রেশন কার্ডের কোনও অস্তিত্ব নেই। অথচ সেগুলিকে হাতিয়ার করেই চলেছে যাবতীয় কাজ। ডিজিটাল রেশন ব্যবস্থা চালু হতেই এই বিপুল গরমিল নজরে আসতেই শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে গরমিল ধরা পড়তেই রেশন ডিলারকে দুই কোটি তিন লক্ষ টাকা ফাইন করা হয়েছে। 

যদিও অভিযুক্ত রেশন ডিলার অবদুল হাকিম ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলতে চাননি। তবে তাঁর ছেলে ফাঁসিদেওয়ার ব্লক তৃণমূল সভাপতি আখতার আলির দাবি, বাবা পৃথক ব্যবস্যা করেন। এ নিয়ে শাসক দলের যোগের বিষয় নেই। তিনি বলছেন, “খাদ্য দফতর বাবাকে এই বিপুল টাকা ফাইন করেছে। আমরাও আইনি পথে এর মোকাবিলা করব।” হঠাৎ করে এই বিপুল ফাইন কেন? গরমিল যদি হত তাহলে আগে কেন নজরে এল না আধিকারিকদের? সেই প্রশ্নও তুলছেন তিনি।

রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সম্পাদক ধীরেন সিনহা জানান, “রেশনে গরমিলের জেরে এই বিপুল টাকা ফাইন গোটা রাজ্যেই কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা। ওই রেশন ডিলার খাদ্য দফতরে আবেদন করেছেন বিষয়টা ফের খতিয়ে দেখার জন্যে। কিন্তু আমরা বলতে চাইছি এত দিন খাদ্য দফতর কী করছিল?” 

তবে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের দাবি, “উত্তরবঙ্গের ধান কেনা থেকে রেশন নিয়ে নানা কেলেঙ্কারিতে শাসকদল টাকা খেয়ে ফেলেছে। একাধিক ডিলার এসব করেছেন। আমরা চাই ইডি-সিবিআই উত্তরবঙ্গে এদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিক।”