দার্জিলিঙ: এক-দু’টাকা নয়। কখনও ৫হাজার, কখনও ১০ হাজার। কখনও বা তারও বেশি। তৃণমূলের রসিদ ছাপিয়ে এভাবেই চলছে টাকা নেওয়া। শিলিগুড়িতে রীতিমতো অশোকস্তম্ভ-সহ তৃণমূলের প্রতীকে রসিদ ছাপিয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। খবর পেয়েই কালবিলম্ব না করে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
ঠিক কী অভিযোগ ব্যবসায়ীদের? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে দলের কাজের জন্য পাঁচ হাজার টাকা চাওয়া হয়। টাকা দিতে গেলে তাঁকে একটি রসিদ দেওয়া হয়। সেই রসিদে তৃণমূলের দলীয় প্রতীক ছাড়াও ছিল অশোকস্তম্ভের সিলছাপ। আর এতেই সন্দেহ হয় ওই ব্যবসায়ীর। তিনি সরাসরি, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এভাবে জাল রসিদে টাকা নেওয়া হচ্ছে খবর পেয়েই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। থানায় দলের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগপত্রে স্পষ্ট লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে স্পষ্ট জানানো হচ্ছে, অশোকস্তম্ভের সিলছাপ-সহ দলের নামে ভুয়ো রসিদ দিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। বদলে মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের কাজ সম্পূর্ণ বেআইনি। প্রশাসন এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করুক।’
জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী বলেন, “দল কখনওই কাউকে টাকা তুলতে নির্দেশ দেয় না। কেউ কেউ এভাবে দলকে বদনাম করার জন্য টাকা তুলছেন। কারা এই চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত আমরা জানি না। তবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। এধরনের তোলাবাজি বরদাস্ত করা হবে না। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি। যারা এই কাজ করছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।”
অন্যদিকে, এই ঘটনায় শাসক শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “তৃণমূল নিজেরাই টাকা চায়। নিজেরাই তোলা তোলে। তারপর নিজেরাই আবার নিজেদে বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। তোলাবাাজি তৃণমূলের বহুদিনের কাজ। এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। দলের নামে তৃণমূলের টাকা তোলা বরাবরই তাদের সংস্কৃতি।”
শিলিগুড়ি মহকুমার পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Srabanti Chatterjee: ‘মমতাদি’কে ধন্যবাদ’ , ফুলবদল শ্রাবন্তীর? তৃণমূলের সভামঞ্চে উস্কে দিলেন জল্পনা