Srabanti Chatterjee: ‘মমতাদি’কে ধন্যবাদ’ , ফুলবদল শ্রাবন্তীর? তৃণমূলের সভামঞ্চে উস্কে দিলেন জল্পনা

TMC in Basanti: প্রসঙ্গত চলতি মাসেই, টুইট করে দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন শ্রাবন্তী। তিনি লিখেছেন, ‘আমি দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।’ দল ছাড়ার কারণ নিজেই জানিয়েছেন শ্রাবন্তী। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের জন্য কিছু করার কোনও উদ্যোগ নেই বিজেপির। সেই কারণেই দল ছাড়লেন তিনি।

Srabanti Chatterjee: 'মমতাদি'কে ধন্যবাদ' , ফুলবদল শ্রাবন্তীর? তৃণমূলের সভামঞ্চে উস্কে দিলেন জল্পনা
তৃণমূলের সভামঞ্চে শ্রাবন্তী, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2021 | 4:17 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: টুইটে দলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বিজেপি ত্যাগ করেছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। পদ্মশিবির ত্যাগের পর ঘাসফুলে ঝুঁকতে পারেন টলিসুন্দরী এমনটাই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। এ বার সেই ছবিটাই যেন সত্যি হল। বাসন্তী ব্লকের মসজিদবাটিতে তৃণমূলের দলীয় অনুষ্ঠানে সভামঞ্চে দেখা গেল অভিনেত্রী শ্রাবন্তীকে। সেখানেই শেষ নয়, মঞ্চ থেকে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জানান তিনি।

সোমবার, তৃণমূলের ওই দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের পাঁচ বিধায়ক। শওকত মোল্লা, পরেশরাম দাস, সুব্রত মণ্ডলদের সামনেই শ্রাবন্তী সভামঞ্চ থেকে বলেন, “আমি বাংলার জন্য কাজ করতে চাই। বাংলারই মেয়ে আমি। মমতাদি’কে অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আমায় আপন করে নিন। আমি আপনাদের জন্যই কাজ করতে চাই।” এরপর, বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল জানান, শ্রাবন্তী তৃণমূলেরই লোক। শুধু তাই নয়, সভামঞ্চেই শ্রাবন্তীকে উত্তরীয় পরিয়ে দলের তরফে বিশেষ সম্মানও জানানো হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কার্যত তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। তবে, শ্রাবন্তী সত্যিই দলে যোগ দিচ্ছেন কি না তা স্পষ্ট নয়। সে বিষয়ে নিজেও কোনও মন্তব্য করেননি অভিনেত্রী। তৃণমূলের তরফেও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পুরনির্বাচনের আগেই ঘাসফুল শিবিরে আরও একটি নতুন ‘তারকা-পালক’ জুড়তে চলেছে?

প্রসঙ্গত চলতি মাসেই, টুইট করে দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন শ্রাবন্তী। তিনি লিখেছেন, ‘আমি দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।’ দল ছাড়ার কারণ নিজেই জানিয়েছেন শ্রাবন্তী। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের জন্য কিছু করার কোনও উদ্যোগ নেই বিজেপির। সেই কারণেই দল ছাড়লেন তিনি। শ্রাবন্তী সংগঠনের সঙ্গে তেমনভাবে যুক্ত নয়, তাই দল ছাড়লে দলের তেমন কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই, তবে এক তারকা মুখ কমে যাওয়া বিজেপির জন্য ধাক্কা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ট্রেন্ড বলছে, যারা গেরুয়া শিবির ছেড়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সেই পথেই কি তাহলে হাঁটছেন শ্রাবন্তী? অন্তত, তাঁর সভায় যোগদানের হিসেব তো তাই বলছে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।

একুশের নির্বাচনের আগে ঘটা করে বিজেপিতে যোগ দেন টলি অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। তৎকালীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পতাকা তুলে নেন তিনি। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে প্রার্থীও হন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েন অভিনেত্রী। নির্বাচনে ৫০ হাজার ভোটে হেরে যান শ্রাবন্তী। ভোটের পর থেকেই আর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তেমন সক্রিয় হতে দেখেনি অভিনেত্রীকে। তারপরেই টুইট করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।

শুধু  শ্রাবন্তীই নয়, পার্নো মিত্র, পায়েল সরকার, তনুশ্রীর মতো একাধিক তারকাকে ভোটের ময়দানে নামিয়েছিল বিজেপি। অভিনেতা হিরণ বা ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পালের মতো কয়েকটি নাম বাদে, আর কাউকে দেখা যায়নি জয়ী প্রার্থীদের তালিকায়। ভোটের পর গেরুয়া শিবিরের এই তারকা প্রার্থীদের নগরের নটি বলে সম্বোধন করেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তাঁদের ভোটে লড়ানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেননি তিনি।  শ্রাবন্তী দল ছাড়ার পর তিনি জানান, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

রাজনৈতিক মহলের মতে, শ্রাবন্তী চলে যাওয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে না দলে। তিনি সক্রিয় ছিলেন না, সংগঠনের কোনও কাজও করেননি। তাই তাঁর অভাব বোধ হবে না গেরুয়া শিবিরের। তবে এ ভাবে পরপর নেতা-নেত্রীদের দল ছাড়ার ঘটনা, বঙ্গ বিজেপির কাছে একটা ধাক্কা বলে মনে করছিলেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: শুভেন্দুর উদ্দেশে ‘কুমন্তব্য’, কাঁথি আদালতে কুণালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের