Darjeeling: দার্জিলিং ম্যালে বসেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন, এবার পর্যটকদের পোয়া বারো
Darjeeling: পাহাড়ে এই সময়টা আকাশ একদম পরিষ্কার থাকে, যা প্রকৃতির নৈস্বর্গিক শোভাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ঝকঝকে পরিষ্কার ও মেঘমুক্ত আকাশে এবার দার্জিলিং ম্যাল থেকেই দেখা মিলল কাঞ্চনজঙ্ঘার। ম্যাল রোডের ধারে স্লিপিং বুদ্ধার এক ঝলক ক্যামেরাবন্দি করতে ভিড় জমালেন পর্যটকরা।
দার্জিলিং: মাঝ নভেম্বর পেরিয়ে গিয়েছে। পাহাড়ে এই সময়টা আকাশ একদম পরিষ্কার থাকে, যা প্রকৃতির নৈস্বর্গিক শোভাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ঝকঝকে পরিষ্কার ও মেঘমুক্ত আকাশে এবার দার্জিলিং ম্যাল থেকেই দেখা মিলল কাঞ্চনজঙ্ঘার। ম্যাল রোডের ধারে স্লিপিং বুদ্ধার এক ঝলক ক্যামেরাবন্দি করতে ভিড় জমালেন পর্যটকরা। দার্জিলিং মানেই বাঙালির কাছে আলাদা আবেগ। সারা বছর ধরে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে দার্জিলিঙে। আজ ম্যাল রোডে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পেয়ে অভিভূত পর্যটকরা। পরিবার নিয়ে কলকাতা থেকে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছেন সত্যজিৎ সাঁতরা। তিনি তো বলেই দিলেন, “এ দৃশ্য তো রোজ রোজ দেখা যায় না! এ তো ভাগ্যের ব্যাপার।”
সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। দার্জিলিং ম্যাল থেকে স্লিপিং বুদ্ধা রেঞ্জের কিংবা কাঞ্চনজঙ্ঘার এক ঝলক দেখতে পাওয়ার সৌভাগ্য রোজ রোজ হয় না। মেঘের চাদরে ঢাকা পড়ে থাকে বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম এই শৃঙ্গ। অগত্যা কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের ছুটতে হয় কখনও রিশপে, কখনও আবার সান্দাকফু বা ফালুটে। সান্দাকফু-ফালুট ট্রেকারদের অতি পছন্দের একটি জায়গা হলেও ল্যান্ডরোভারের সৌজন্যে এখন সাধারণ পর্যটকদেরও হাতের নাগালে সান্দাকফু-ফালুট। দুই জায়গা থেকেই সারা বছর কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ গোটা স্লিপিং বুদ্ধা রেঞ্জ দেখতে পাওয়া যায়। কপাল ভাল থাকলে এভারেস্ট, লোথসে, মাকালুর দর্শনও মেলে।
তবে দার্জিলিং শহরে বসে ম্যাল রোডের ধারে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কাঞ্চনজঙ্ঘার অভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপারই বটে। নভেম্বর-ডিসেম্বর এই সময়টা আকাশ পরিষ্কার ও মেঘমুক্ত থাকার কারণে কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন পাওয়ার সুযোগ একটু বেশিই থাকে। আপনারও কি এর মধ্যে দার্জিলিং যাওয়ার প্ল্যান রয়েছে? হতেই পারে ম্যাল রোডের ধারে বরফে মোড়াকাঞ্চনজঙ্ঘা অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।