দার্জিলিং : নাকে মুখে রক্ত লেগে। রাস্তায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন এক মহিলা। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কোনও ক্রমে বাঁচানো হয়েছে। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে আসল ঘটনা। ফের একবার হেনস্থার অভিযোগ উঠল রাজ্যে। হাঁসখালি, পিংলা, মাটিা, শান্তিনিকেতনের পর এবার দার্জিলিং। ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন ওই মহিলা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার প্রমাণ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি মহিলার আত্মীয় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
দার্জিলিং জেলার মকাইবাড়ি এলাকার ঘটনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই মহিলাকে রক্তাক্ত সংজ্ঞাহীন পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে ওই অবস্থায় দেখে চমকে যান গ্রামবাসীরা। এরপরই স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশকে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায়। মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখান থেকেই মহিলার পরিচয় পাওয়ার পর খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকে।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা পেশায় আশাকর্মী। দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং ব্লকের বাগোরা সাব সেন্টারের কর্মী ওই মহিলা। শুক্রবার তিনি কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন, পথেই এই ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে তাকে কার্শিয়াং প্রাথমিক হাসপাতাল থেকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে তাঁর। পরিবারের বক্তব্য তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে তা জানা যায়নি, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে শুক্রবার বিকেল ৪ টে নাগাদ খবর পান তাঁরা। এরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
জানা যাচ্ছে, বাড়ি ফেরার জন্য গাড়িতে উঠবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। একটি গাড়িতে উঠেও পড়েন। তারপরই ঘটে ওই ঘটনা। কিন্তু গাড়িতে কে বা কারা ছিল, তা এখনও জানা যায়নি।
অন্যদিকে, আশাকর্মীদের নিরাপত্তার দাবি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়ন। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নমিতা চক্রবর্তী জানান, দিন হোক বা রাত, আশা কর্মীদের সবসময় বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করতে হয়। তাঁদের সুরক্ষা প্রয়োজন। প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন এক ব্যক্তিকে। তাঁর নাম আয়ুশ থাপা। পুলিশ কর্তারা জানান সম্পর্কে ওই মহিলা অভিযুক্তের আত্মীয়।