নদিয়া: চিকিৎসকের বাড়িতে কাজে গিয়ে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু। মৃতের পরিবারের দাবি ইচ্ছা করেই খুন করা হয়েছে বাড়ির ছেলেকে। গোটা ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
কী হয়েছে?
নদীয়ার ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত বনোগ্রাম এলাকা। মৃত ব্যক্তির নাম ইমতিয়াজ আলোম শেখ। বয়স আনুমানিক সতেরোর আশেপাশে। পরিবারের অভিযোগ, বছরখানেক ধরে বনগ্রামের এক ডাক্তার গৌতম গাঙ্গুলীর বাড়িতে অ্যসিটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন ওই যুবক। এরপর আজ ওই বাড়ি থেকে হঠাৎ তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ধুবুলিয়া থানার পুলিশ। বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
এই ঘটনায় ইমতিয়াজের বাবা জব্বার শেখ জানান, “পরিকল্পনা করেই আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।” তবে যে চিকিৎসকের কাছে মৃত যুবক কাজ করতেন তাঁর দাবি প্রতিদিনের মতো কৃষ্ণনগর থেকে কাজ করে বাড়ী ফিরেছেন। সেই মতো আজও বাড়িতে ফিরে ইমতিয়াজকে বারংবার ডাকতে থাকেন। কিন্তু কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়িতে ঢুকে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তাঁকে। তড়িঘড়ি ইমতিয়াজের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়।এদিকে, ওই চিকিৎসক গৌতম গাঙ্গুলি দাবি, চেম্বারে থাকাকালীন দীর্ঘ সময় ফোনে আসক্ত হয়ে থাকতেন ওই যুবক। তিনি বলেন, “আমি প্রতিদিন কৃষ্ণনগর যেতাম। আমার স্ত্রী-ছেলে ওইখানেই থাকেন। ইমতিয়াজ প্রতিদিন আমায় ছাড়তে স্টেশন যেত। গতকালও গেছিল। সেই সময় ওর মন-মেজাজ খারাপ ছিল দেখেছিলাম। জিজ্ঞাসাও করি কী হয়েছে। কিন্তু কোনও উত্তর দেয়নি। এরপর আজ সকালে এখানে এসে দেখি ঘরে জানালা বন্ধ। রাতে আমার বাড়িতে বৃদ্ধা মা আর ইমতেয়াজ থাকত। সকালে ঘরে ঢুকে দেখি ও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সঙ্গে-সঙ্গে আমি স্কুটি নিয়ে ওর বাড়ি যাই। আর খবর দিই। পুলিশ আসে। এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে চলে যায়। একবছর ধরে ছেলেটি আমার এখানে কাজ করে। অতিরিক্ত ফোনের নেশা ছিল। তবে আমি কোনওদিন সেইভাবে জিজ্ঞাসা করিনি।”
তবে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ। সূত্রের খবর ওই বাড়িতে সিসিটিভি আওতায় তাই তদন্তের স্বার্থে সেই সমস্ত ফুটেছ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যায় । তবে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিমানের পাশাপাশি এবার এয়ারপোর্টেও শোনা যাবে ভারতীয় সঙ্গীত! ICCR এর দাবি নিয়ে ভাবনাচিন্তা সরকারের