কাঁথি : শুক্রবার রাত্রি ৮ টা নাগাদ দলত্যাগ করলেন কাঁথি উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রী মাইতি(Banasri Maity)। এদিন তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সীকে ইস্তফাপত্র পাঠান বনশ্রী। লেখেন, তিনি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন, পাশাপাশি ছেড়ে দিচ্ছেন বাকি সমস্ত পদ।তবে বিধায়কের পদ থেকে এখনই ইস্তফা দেননি বনশ্রী।শোনা যাচ্ছে, আগামী ১৯ ডিসেম্বর শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাতেও দেখা যেতে পারে বনশ্রীকে(Banasri Maity)।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর খেজুরিতে অরাজনৈতিক ব্যানারে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। ‘দাদার অনুগামী’ বলে পরিচিত বনশ্রী সহ মধুরিমা মন্ডল, রনজিৎ মন্ডল প্রত্যেকেই খেজুরিতে শুভেন্দুর সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারপর থেকেই বনশ্রীর(Banasri Maity) সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে থাকে। পাশাপাশি, কয়েক সপ্তাহ আগে কাঁথিতে সভা করেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা উপস্থিত থাকলেও সেই সভাতে দেখা যায়নি বনশ্রীকে।
আরও পড়ুন : তৃণমূল আদৌ ১০০ পেরোবে কিনা সন্দিহান মুকুল
তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সদ্যই ২২ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। দলত্যাগের ‘উঁই’ ধরেছে জোড়াফুলের অন্দরে। শুক্রবার, বিজেপির সাংবাদিক বৈঠকে ভগবানপুর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি থেকে শুরু করে ১৮ জন নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। এই সংখ্যা ক্রমশই বাড়বে এমনটাই দাবি পদ্মশিবিরের একাংশের।
আরও পড়ুন : স্বামীজীর বাড়ি হয়েই ‘শাহি’ সফর শুরু
যদিও এখনও এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন ‘যাঁরা মনে করছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে গিয়ে জিতে যাব, তাঁদের বেস্ট অব লাক জানাই।কারণ, বাংলার মানুষ বেইমানদের পছন্দ করে না।’
আরও পড়ুন : ব্যভিচারী চলে যাচ্ছে, তৃণমূল আরও শক্তিশালী হচ্ছে: কাকলি
এদিন দলত্যাগের প্রসঙ্গে, বনশ্রী জানান, ‘আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি আছে।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারা যাবে।’ বনশ্রীর দলত্যাগ প্রসঙ্গে যদিও মুখে কুলুপ এঁটেছেন খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল। শোনা যাচ্ছে, ‘দাদার অনুগামী’ হওয়ার সুবাদে ‘দাদার’ ‘দেখানো পথেই’ পা বাড়াবেন তিনি।