ব্যভিচারী চলে যাচ্ছে, তৃণমূল আরও শক্তিশালী হচ্ছে: কাকলি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাম না করে শুভেন্দু, শীলভদ্র, জিতেনদেরই টার্গেট করলেন তৃণমূল সাংসদ।
কলকাতা: তাসের ঘরের মতো ভাঙছে তৃণমূল! দলত্যাগ করছেন একাধিক নেতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন ভোটের আগে বারবার ধাক্বা খাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। একাধিক নেতা দল ছাড়লেও দলের শক্তি কমবে না। তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে একথাই বোঝালেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)।
দলত্যাগীদের উদ্দেশ্য করে কাকলি বলেন, “অনেক মুমূর্ষ চলে যাচ্ছেন, অনেক ব্যভিচারী চলে যাচ্ছেন। অনেক অবৈধ অর্থ উপার্জনকারী চলে যাচ্ছেন। তাতে আমাদের দলটা আরও শক্তিশালী হচ্ছে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাম না করে শুভেন্দু, শীলভদ্র, জিতেনদেরই টার্গেট করলেন তৃণমূল সাংসদ। কাকলি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এতদিনেও নেতা তৈরি করতে পারল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুশৃঙ্খল দল থেকে নেতা ধার নিতে হচ্ছে।” তাঁর এ-ও দাবি, ধার করা নেতাদের নিয়েও ভোটে জিততে পারবে না বিজেপি।
ডায়মন্ডহারবারে জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার জেরে রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারকে ডেপুটেশনে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। সেই প্রসঙ্গেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। “সরকারি আধিকারিকদের মানসিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করতে বদলি করে দিচ্ছেন। যে সঠিক কাজ করেনি তাঁকে বর্ডার পাহারা দিতে পাঠাচ্ছেন কেন?”এই প্রশ্নও কেন্দ্রের কাছে ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।
কাকলির সাফ কথা, ভয় দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমানো যাবে না। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পান না। শ্রমজীবী মানুষদের স্বার্থে লড়াই করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় দেখান যায় না। বিজেপির ভয় দেখানোর স্ট্র্যাটেজিটাই ভুল।” কিন্তু একাধিক নেতার ক্রমাগত ইস্তফাপত্র আসতে শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এমতাবস্থায় দলকে সামলানোর জন্য কালীঘাটে শুক্রবার তড়িঘড়ি কোর কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যেখানে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন প্রশান্ত কিশোরও।
আরও পড়ুন: স্বামীজীর বাড়ি হয়েই ‘শাহি’ সফর শুরু
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ভোলেননি বারাসতের সাংসদ। কাকলি সাফ জানিয়েছেন, কৃষকদের বিরুদ্ধে যে তীব্র আঘাত আসছে তার তীব্র বিরোধিতা করে তৃণমূল। যারা জোড়া ফুল থেকে পদ্ম শিবিরে যাচ্ছেন তাঁদের উদ্দেশে কাকলি বলেন, “যারা মনে করছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে গিয়ে জিতে যাব, তাদের বেস্ট অব লাক জানাই। কারণ বাংলার মানুষ বেইমানদের পছন্দ করে না।”