Eco Park: সৌন্দর্যায়নের কথা ভেবে তৈরি হয়েছিল একাধিক মডেল, সূর্য ডুবলে তারই পিছনে শুরু হয়ে যাচ্ছে খেলা… সরকারিভাবে বন্ধ ইকোপার্ক
Eco Park: ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের দুর্গাহুড়ি ইকোপার্ক বর্তমানে সমাজবিরোধীদের কাছে স্বর্গরাজ্য। তাই গোটা পার্কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মদের খালি বোতল। তাছাড়া যত্রতত্র প্লাস্টিক, ছেঁড়া ফাটা কাগজ আর নোংরা আবর্জনা স্তূপ।
ঝাড়গ্রাম: সৌন্দর্যায়নের জন্য অনেক স্বপ্ন নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ইকোপার্ক। সাজানো হয়েছিল ছবির মতো করে। কিন্তু সেই ইকোপার্কেরই যা অবস্থা রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারির অভাবে ছবির মতো সাজানো ইকোপার্ক এখন আগাছার জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। ভগ্নপ্রায় দশা। সূর্যি পাটে তো দূরের কথা, দিনেও সেই এলাকায় পা মাড়ানোর সাহস পাচ্ছেন না বাসিন্দারা।
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের দুর্গাহুড়ি ইকোপার্ক বর্তমানে সমাজবিরোধীদের কাছে স্বর্গরাজ্য। তাই গোটা পার্কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মদের খালি বোতল। তাছাড়া যত্রতত্র প্লাস্টিক, ছেঁড়া ফাটা কাগজ আর নোংরা আবর্জনা স্তূপ। শাল-সেগুনের ঘন সবুজ ইকোপার্কে রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে গড়া ওঠা বিশাল টলটলে লেক। সেখানে ছিল বোটিংয়েরও ব্যবস্থাও।
শুরুর দিকে গোটা শীত জুড়ে পরিযায়ী পাখির দল ভিড় জমাত বন দফতরের দুর্গাহুড়ি ইকো পার্কের লেকে। আসেপাশের বাসিন্দারা ছাড়াও, বনভোজনে আসা দূরদূরান্তের মানুষের কাছে, যা ছিল বাড়তি পাওনা। স্বভাবতই বর্তমানের বেহাল দশা ঘিরে, কাঠগড়ায় বনদফতর ও জেলা প্রশাসন। সাঁকরাইল ব্লকে পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা পার্কগুলিতে কিছুটা সৌন্দর্যায়নের কাজ চললেও, বনদফতরের ইকো পার্ক ঘিরে নিজেদের অসহায়তার কথা তুলে ধরেছেন সাঁকরাইল ব্লকের বিডিও রোহন ঘোষ।
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর জঙ্গলমহলে পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করার কথা বারে বারে বলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ দীর্ঘ সাত-আট বছর ধরেই, বেহাল দশায় সাঁকরাইল ব্লকের দুর্গাহুড়ি ইকো পার্ক। ইকো পার্কটি, খড়গপুর বনবিভাগের অধীনে। ডিএফও মণীশ যাদব ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও তিনি জানান, সরকারি ভাবে পার্কটি বন্ধ রয়েছে। নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্যে, প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও নির্দেশ এখনও আসেনি।