Fake Ticket Checker : ‘আমিই টিকিট পরীক্ষক’, টিকিট দেখতে চাইতেই জবাব যুবকের, পরিচয়পত্র বের করতেই…

Fake Ticket Checker :মুম্বই মেল থেকে গ্রেফতার ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক। আসানসোলে পাকড়াও যুবক।

Fake Ticket Checker : 'আমিই টিকিট পরীক্ষক', টিকিট দেখতে চাইতেই জবাব যুবকের, পরিচয়পত্র বের করতেই…
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2023 | 4:56 PM

আসানসোল : সুপারফাস্ট মুম্বই মেল (Mumbai Mail ) থেকে গ্রেফতার ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক (Fake Ticket Checker)। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে চলতি বছরেই ইস্যু করা একটি পরিচয়পত্র বা আইডেনটিটি কার্ড। যা জাল বলে জানতে পারা যাচ্ছে। ধৃতর নাম অজিত বিশ্বকর্মা। তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলায়। এদিকে টিকিট পরীক্ষক সেজে সে যে যাত্রীদের থেকে জরিমানার নামে টাকা তুলছে সে খবর আগে থেকেই ছিল ওই শাখার চিফ ইন্সপেক্টর অফ টিটিই মহম্মদ জাহিদ আখতারের কাছে। এদিন তাঁর নেতৃত্বেই পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের সীতারামপুর ও বরাচক স্টেশনের মাঝে তাঁকে আটক করে টিকিট পরীক্ষকদের একটি দল। তারপর তুলে দেওয়া হয় রেল পুলিশের হাতে। বুধবার ধৃতকে আসানসোল আদালতে তোলা হবে বলে আসানসোল রেল পুলিশ সূত্রে খবর।

রেল সূত্রে খবর, এদিন আসানসোলের বরাকর স্টেশন থেকে আসানসোলগামী সুপারফাস্ট মুম্বই মেলে টিকিট পরীক্ষার কাজ করছিলেন মহম্মদ জাহিদ আখতারের নেতৃত্বে টিকিট পরীক্ষকদের একটি দল। তাঁরা ট্রেনে অজিত বিশ্বকর্মার কাছ থেকে একটি জেনারেল টিকিট পান। যেটি জাপলা থেকে রানিগঞ্জ পর্যন্ত ছিল। জাহিদ আখতার বলেন, সুপারফাস্ট ট্রেনে জেনারেল টিকিটে ভ্রমণ করা যায় না। তাই তাকে ২৬৫ টাকা ফাইন দিয়ে টিকিটটি সুপারফাস্ট করতে বলা হয়। তখন সে বলে, ‘আমি টিটিই। আসানসোলে ডিভিশনে পোস্টিং পেয়েছি। বুধবার কাজে যোগদান করতে রানিগঞ্জে যাচ্ছি। সেখানে আমার প্রশিক্ষণ হবে। প্রমাণ হিসাবে তার কাছে কী আছে জানতে চাইলে, সে একটি পরিচয়পত্র বা আইডেনটিটি কার্ড দেয়। তাতে দেখা সেটি আসানসোল ডিভিশন থেকে ইস্যু করা হয়েছে।’

ঘটনা প্রসঙ্গে মহম্মদ জাহিদ আখতারে আরও বলেন, “তখনই আমার সন্দেহ হয়। কারণ টিটিইদের প্রশিক্ষণ রানিগঞ্জে হয় না। তা হয় ধানবাদের কাছে ভুলিতে। আর প্রশিক্ষণের আগে, কাউকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয় না। তা দেওয়া হয় একবারে প্রশিক্ষণের শেষে।” খবর যায় আরপিএফের কাছে। এরপর আসানসোল স্টেশনে ট্রেনটি এলে অজিত বিশ্বকর্মাকে আটক করে আরপিএফ।পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের তরফে লিখিতভাবে রেল পুলিশকে জানানো হয় ধৃতের কাছে যে পরিচয়পত্র রয়েছে তা ভুয়ো। এমন কোনও পরিচয়পত্র ইস্যুই করা হয়নি। এরপরই ধৃতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে আসানসোল রেল পুলিশ। গ্রেফতারও করা হয়। প্রাথমিক জেরায় ধৃত যুবক জানিয়েছে, এক ব্যক্তি ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তাঁকে এই পরিচয়পত্র দিয়ে রানিগঞ্জে আসতে বলেছিল। ইতিমধ্যেই জোরকদমে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ।