Firing: ভর সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে চলল গুলি, মৃত্যু ব্যবসায়ীর

শক্তিগড় ল্যাংচা হাবের সামনে আততায়ীরা একটি চারচাকা গাড়িতে করে আসে এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি গাড়ির ভিতরে থাকা ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

Firing: ভর সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে চলল গুলি, মৃত্যু ব্যবসায়ীর
শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবের সামনে সাদা গাড়ি লক্ষ্য করে চলল গুলি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 01, 2023 | 11:31 PM

শক্তিগড়: ভর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে জাতীয় সড়কের উপর চলল গুলি (Firing)। ঘটনায় মৃত্যুও হয়েছে এক ব্যবসায়ীর। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও একজন। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের (Shaktigarh) ১৯ জাতীয় সড়কের উপর। একেবারে শক্তিগড় ল্যাংচা হাবের সামনে গুলি চালনার ঘটনাটি ঘটে। আততায়ীরা একটি চারচাকা গাড়িতে করে আসে এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি গাড়ির ভিতরে থাকা ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। যদিও কারা, কেন গুলি চালাল তা স্পষ্ট নয়। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানান, ১৯ জাতীয় সড়কের শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবের সামনে গুলি চালনার ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও একজন আহত হয়েছে। ড্রাইভারের কিছু হয়নি। গাড়িতে তিনজন ছিলেন। মৃতের নাম রাজু ঝাঁ (৫২)। তিনি কয়লা ব্যবসায়ী ও দুর্গাপুরের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গী বোতিন মুখোপাধ্যায়ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁর হাতে গুলি লেগেছে। বর্তমানে তিনি অনাময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঁরা একটি সাদা চারচাকা (ফরচুনা) গাড়ি নিয়ে শক্তিগড় ল্যাংচা হাবের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। গাড়িতে মোট চারজন ছিলেন। সেই সময় বর্ধমান থেকে কলকাতার দিকে যাওয়া একটি নীল রঙের গাড়ি থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ওই গাড়িটি এখনও ধরা যায়নি। দ্রুতগতিতে কলকাতার দিকে চলে গিয়েছে। সেটি ধরার চেষ্টা চলছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সাদা গাড়ির আরোহীদের লক্ষ্য করে নীল রঙের গাড়ির ভিতর থেকে চার থেকে পাঁচটি গুলি ছোড়া হয়। ল্যাংচা হাবের এক দোকানদার অরুণ ঘোষ বলেন, “বাজি ফাটার মতো শব্দ হয়। সেটা দেখে দোকানের বাইরে এসে দেখি, সাদা গাড়ির কাচ ভেঙেচুরে গিয়েছে। ভিতরে দুজন গুলিবিদ্ধ।”

গাড়িটিতে মোট চারজন ছিলেন।  গাড়ির চালকের পাশের আসনে বসে ছিলেন রাজু ঝাঁ। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরও একজনের গুলি লেগেছে। তারপর পুলিশ মৃত এবং আহত দুজনকেই উদ্ধার করে বর্ধমানের অনাময় হাসপাতালে পাঠায়। পরপর গুলি ছুড়েই নীল গাড়িটি দ্রুতবেগে কলকাতার দিকে বেপাত্তা হয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।