Hilsa Price: সমুদ্রে নোনাভাব না কাটলে মিলবে না বড় ইলিশ! তাহলে উপায়?
West Bengal: মাঝ সমুদ্রে গিয়েও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা, সাগর ও রায়দিঘির মত্স্যজীবীদের।
কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গের আকাশে ইলশেগুড়ির দেখা মিললেও, বাঙালির পাতে দেখা নেই ইলিশের। তাই রুপোলি শস্য না পেয়ে হতাশ আম আদমি। মাঝ সমুদ্রে গিয়েও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা, সাগর ও রায়দিঘির মত্স্যজীবীদের।
মরশুমের শুরুতে জালে কিছু ইলিশ উঠলেও, সময় যত এগিয়েছে ততই আশাভঙ্গ হয়েছেন মত্স্যজীবীরা। জালে পর্যাপ্ত ইলিশ না ওঠায়, আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে মত্স্যজীবী থেকে ট্রলার মালিকদের। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে গভীর সমুদ্রে ইলিশের ঝাঁক দেখা যাবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কলকাতার মানিকতলা বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, ‘আগে টাটকা মাছ আসছিল (দিঘা, ডায়মন্ড হারবার থেকে সরাসরি) সেই মাছ আসা বন্ধ হয়েছে। ছোট মাছ স্টোরে আসছে। বড় আকৃতির যে মাছ আসছে সেইগুলোর দাম অনেক। মধ্যবিত্তের হাতের বাইরে। বাংলাদেশের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ গ্রাম মাছের দাম ৮০০ টাকা। ১ কেজি আকৃতির মাছের দাম ১৩০০ টাকা এমনই সব।’ বাজারে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘ মাছের যা অবস্থা তাতে কেনার সাধ্য নেই। বৃষ্টি নেই ইলিশ নেই। এক প্রকার হতাশই।’
ক্যালেন্ডারে ভরা বর্ষার মাস থাকলেও, এখনও সেভাবে দেখা মেলেনি রুপোলি শস্যের। যদিও আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি বদলে ফের সুসময় আসবে বলে মনে করছেন মত্স্যজীবীরা।
কিন্তু কেন ইলিশ কম?
মৎস্যজীবীদের দাবি, এবারে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ার পর সমুদ্রের জলের নোনাভাব কাটবে। তারপরই কিন্তু ইলিশ মাছ সমুদ্রের জলে আসবে। সেক্ষেত্রে এখনও কিন্তু নোনাভাব রয়েছে সমুদ্রের জলে। তবে পূবালি বাতাস এখনও পর্যন্ত ওঠেনি। সেই কারণে মৎস্যজীবী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে বাংলাদেশের দিক থেকে অর্থাৎ পূর্ব থেকে পশ্চিমদিকে যে হাওয়া ওঠার কথা এখনও সেই বাতাস ওঠেনি। তাই মরশুমের শুরুতে যে ইলিশের আশা জুগিয়েছিল তা মন মতো হয়নি।